লালমনিরহাটের সীমান্তে ১৫ বিজিবি’র সফল অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়েছে।
গত এক সপ্তাহে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবি’র বিশেষ টহলদল কর্তৃক সীমান্ত এলাকায় সফল অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ফেন্সিডিল জব্দ করেছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক বিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত ২১ জুলাই ঝাউরানী বিওপি’র আওতাধীন উত্তর ঝাউরানী এলাকায় এবং গত ২৩, ২৪ ও ২৫ জুলাই দৈখাওয়া বিওপি’র আওতাধীন ভূটিয়ামঙ্গল (থানা- হাতিবান্ধা, জেলা-লালমনিরহাট) এলাকায় এবং গত ২৪ ও ২৮ জুলাই অনন্তপুর বিওপি’র আওতাধীন কাশেম বাজার (থানা- ফুলবাড়ী, জেলা- কুড়িগ্রাম) এলাকায় রাত ব্যাপী এসব বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান চলাকালে কতিপয় সন্দেহভাজন ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ করে বিজিবি টহল দলের সদস্যরা তাৎক্ষণিক ধাওয়া করেন। এ সময় চোরাকারবারীরা অন্ধকারের সুযোগে মালামাল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ফেলে রাখা মালামাল তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে গাঁজা ৩০কেজি বাজার মূল্য ১লক্ষ ৫হাজার এবং ফেন্সিডিল ১শত ৪৯টি বোতল বাজার মূল্য ৫৯হাজার ৬শত। যার সর্বমোট বাজার মূল্য ১লক্ষ ৬৪হাজার ৬শত টাকা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চোরাকারবীদের তথ্য সংগ্রহ পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি বলেন, দেশের যুব সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। সীমান্তে মাদক প্রবেশ ঠেকাতে আমাদের নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া তিনি স্থানীয় জনগণকে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেন।
এই অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার, যা মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।