শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
থানা আক্রমণ করে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪জন গ্রেফতার লালমনিরহাটে ফল উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই বিএনপির কর্মীকে কারাদণ্ড, প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে হামলা ভাংচুর : ৮ পুলিশসহ আহত অন্তত ২০ প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় রিকশাচালক গ্রেফতার চাকরিচ্যুত হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি ঐতিহ্যবাহী মোগলহাট জিরো পয়েন্ট এখন শুধুই স্মৃতি; দর্শনার্থীদের ভিড় সময়ের প্রয়োজনে ও রক্তের বিনিময়ে এনসিপি গঠিত হয়েছে- লালমনিরহাটে এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ; ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন কালের আবর্তে বিলুপ্তির পথে মহিষ
তামাকজাত দ্রব্য ও ধূমপায়ীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে

তামাকজাত দ্রব্য ও ধূমপায়ীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন, ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় ধূমপান বিরোধী তৎপরতা ও আইনের প্রয়োগ নেই। তামাকজাত দ্রব্য সেবন ও ধূমপায়ীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে।

 

প্রকাশ্যে ধূমপান বিরোধী আইন প্রণয়ন করা হলেও এর কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে হয় না। নীতি-নৈতিকতার অভাব, কুফল সম্পর্কে অজ্ঞতা, ফ্যাশন হিসেবে মনে করা, সচেতনতার অভাবসহ সহজলভ্য হওয়ায় ধূমপায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার দেশে তামাকজাত দ্রব্য থেকে রাজস্ব পাচ্ছে ৭হাজার কোটি টাকা। আর ধূমপানের কারণে সৃষ্ট রোগের পিছনে ব্যয় করছে বছরে ১১হাজার কোটি টাকা। আইন প্রণয়ন করা হলেও প্রকাশ্যে ধূমপানের অভ্যাস ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপক হারে। বয়স্ক মানুষের পাশাপাশি শিশু-কিশোররাও ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্য সেবনে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় আইনে নিষিদ্ধ হলেও প্রকাশ্যেই চলছে এসব কার্যক্রম। বিড়ি-সিগারেটের কোম্পানিগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিক্রি বাড়ানোর জন্য লালমনিরহাট জেলার হাট-বাজারে বিক্রর প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কৌশলে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে লোভনীয় অফার দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের ধূমপানের প্রতি আগ্রহী করে তুলছে। এসব কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিরা যেসব স্থানে বেশি সংখ্যক শ্রমিকরা কাজ করে সেসব স্থানে গিয়ে তাদের ধূমপানের প্রতি আকৃষ্ট করতে বিনামূল্যে বিড়ি-সিগারেট বিতরণ করে থাকে । বিনামূল্যে বিড়ি-সিগারেট খেতে খেতে এক সময় অভ্যস্ত হয়ে নিজেরা পকেটের টাকা দিয়ে বিড়ি-সিগারেট কিনে খাওয়া শুরু করে। প্রকাশ্যে ধূমপান ও তামাক কোম্পানির কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা তেমন না নেওয়ায় অবাধে এ অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে ধূমপায়ীরা প্রত্যক্ষভাবে এবং ধূমপারীর আশপাশে থাকা অধুমপায়ীরাও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ধূমপায়ীর পরিবারের শিশু ও নারীরা। কারণ বাড়ির কর্তাব্যক্তি বাড়িতে বসে ধূমপান করলে তখন বাড়ির শিশু ও নারীদের ক্ষতির শিকার হতে হয়। তাছাড়া ১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের দিয়ে বিড়ি-সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় আইনে নিষিদ্ধ হলেও লালমনিরহাট জেলার কোথাও মানা হয় না এ আইন।

 

সাধারণত হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন দোকানে শিশুরাই কাজ করে। আর তারাই তামাকজাত দ্রব্যের আনা নেয়া করে থাকে। তাছাড়া পানের দোকানে অবাধে নানা প্রকার ক্ষতিকর জর্দা, গুল বিক্রি হলেও এ ব্যাপারে কোন আইনি পদক্ষেপ দেখা যায় না।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিড়ি- সিগারেটের ধুয়াসহ তামাকজাত দ্রব্যে ৪হাজারের বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। ভাষাক সেবনের ফলে প্রতি বছর বাংলাদেশে ৫৭হাজার মানুষ মৃত্যু বরণ করে। আর তামাকের কারণে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসার সরকারকে ব্যয় করতে হচ্ছে ১১হাজার কোটি টাকা। পক্ষান্তরে এ খাত থেকে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে ৭হাজার কোটি টাকা। ছাত্রছাত্রীদের নৈতিকতার শিক্ষাদান, তামাকের ক্ষতিকর বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে এর হাত থেকে উত্তোরণ সম্ভব বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone