শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ

বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ

Exif_JPEG_420

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটের বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ। বসন্ত বাতাসে ইরি-বোরো ধানের সবুজ ঢেউ লালমনিরহাট জেলার কৃষকের মন ভরিয়ে দিচ্ছে। ঢেউয়ের মতো খেলে যাচ্ছে ধান গাছের সবুজ পাতা ও কাঁচা শিষ। ইরি-বোরো ধানের শিষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। ধানের কাঁচা শিষ দেখে আনন্দে বুক ভরে উঠছে কৃষকের মন।
এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, যথাসময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে ইরি-বোরোর বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর লালমনিরহাট জেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় প্রায় ৮০হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ও উফশী জাতের ধান চাষ হয়েছে।
কদিন পরেই ধানের সবুজ চারা এবং কাঁচা শিষ হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শিষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। মাঠ ভরা ফসলের স্বপ্ন দেখে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠবে আনন্দের ছোঁয়া। রাশি রাশি সোনালি ধানে ভরে উঠবে কৃষক-কৃষাণীর শূন্য গোলা। ইরি-বোরো মৌসুমকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখে এ অঞ্চলের চাষিরা।
ফলে ফসলের মাঠ অনেক সুন্দর হয়েছে। ধানের সবল-সতেজ চারা এবং শিষ বের হয়েছে। তাই এবার ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি বোরো মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ১নং মোগলহাট ইউনিয়নের কাকেয়াটেপা, ভাটিবাড়ী, কোদালখাতা ও ফুলগাছ এলাকায় ইরি-বোরো ধানের মাঠে সবুজের সমারোহ। ধানের প্রতিটি খেতে শিষ উঁকি দিচ্ছে। খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকের। কৃষকেরা মাঠে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠে সেচ, সার, কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার এবং পার্চিং ব্যবহার করছেন কেউ কেউ।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষাবাদকৃত ইরি-বোরো ধান গতবারের চেয়ে এবার ভালো হয়েছে। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি ধান কাটা শুরু হবে। তখন পূরণ হবে কৃষকের স্বপ্ন।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার কোদালখাতা, ফুলগাছ এলাকার মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাক, হযরত আলী, সাহেব আলীসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, চলতি বছর ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকেরা। কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে বিগত বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবে সবাই।
ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ্রী মুকুল চন্দ্র সরকার বলেন, ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তাই ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone