শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সীমান্তে নেশার চালান মজুদ লালমনিরহাটের বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিল্পপতি এবং শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব শেখ আব্দুল হামিদ বাবু প্রেসক্লাব লালমনিরহাট এর সাবেক সভাপতি মরহুম মোফাখখারুল ইসলাম মজনু’র স্মরণ সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে বাঁশের সাঁকোই ভরসা ৭টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের! লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্ত পথে ৫ বাংলাদেশীকে ফেরত দিল বিএসএফ লালমনিরহাটের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে “বাংলাদেশের মানচিত্র” লালমনিরহাটে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর গণহত্যা ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে সবগুলো মামলায় জড়াতে চাপ; সাংবাদিককে এলাকা ছাড়তে বললেন ওসি লালমনিরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প পাশ করার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাট গণহত্যা দিবস স্মৃতিস্তম্ভ্য নির্মাণ করার দাবী

লালমনিরহাট গণহত্যা দিবস স্মৃতিস্তম্ভ্য নির্মাণ করার দাবী

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট রেলওয়ে রিক্সা স্ট্যান্ডটিতে ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা নির্মমভাবে গণহত্যা চালিয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবিসহ ৪শতাধিক নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা তাদের লাশগুলো পার্শ্ববর্তী রেলওয়ে পুকুরে নিয়ে গণকবর দেয়। কিন্তু হত্যাযজ্ঞের স্থানটিতে স্বাধীনতার ৪৯বছরেও সরকারি ভাবে নির্মিত হয়নি কোন স্মৃতিস্তম্ভ্য

জানা যায়, উর্দূভাষী বিহারী অধুষ্যিত লালমনিরহাট জেলা শহরে পশ্চিমা শোষক ও তাদের দোসরদের বাংলার মাটি থেকে চিরতরে উৎখাত করার দৃঢ় সংকল্পে চারিদিকে শ্লোগান উচ্চারিত হতে থাকে। লালমনিরহাট জেলা শহরে বিরাজ করতে থাকে টান টান উত্তেজনা। এদিকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ডাক দেয়ার পর লালমনিরহাটে আরো উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শুরু হয় পাকিস্তানী বাহিনী ও উর্দূভাষী বিহারী তথা অবাঙ্গালী কর্তৃক নির্মম হত্যাকান্ড এবং বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড।

১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় জেলার রেলওয়ের ওভার ব্রীজের পশ্চিম পাড়ের রিক্সা ষ্ট্যান্ডে ডাঃ আব্দুর রহমান, ডাঃ মোক্তাদির, ডাঃ এ.জি আহমেদ, শহীদ মোফাজ্জল হোসেন ও রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৬শতাধিক লোককে ধরে এনে লাইন করে দাঁড় করিয়ে গুলি চালিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনা ও তার এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদররা। এদিকে সেই নির্মম হত্যাকান্ডের ৪৯বছর পেড়িয়ে গেলেও সেই হত্যাকান্ডের দোসর রাজাকার-আলবদরদের তালিকা এখনও তৈরি হয়নি। ফলে তাদের বিচারের আওতায় আনাও সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ জানান, সেই দিনের শহীদদের গণকবরটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। আর হত্যাযজ্ঞের স্থানটিও ‘৭১-এর স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে সংরক্ষণ করে গড়ে তোলা হবে। আর বর্তমান সরকার যুদ্ধপরাধীদের বিচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে সেই দিনের নরপিশাচদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

লালমনিরহাট জেলার মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের দাবী এ হত্যাযজ্ঞের স্থানটিকে সংরক্ষিত করে শহীদদের স্মরণে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য স্মৃতিস্তম্ভ্য নির্মাণ করা হোক।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone