শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের যৌক্তিক দাবীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি! ভারতের সিকিম রাজ্যের প্রাক্তণ শিক্ষা মন্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার! লালমনিরহাটে ২ ছাত্রলীগের নেতার পদত্যাগ! লালমনিরহাটে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সন্তান কমান্ডের মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান লালমনিরহাটে পবিত্র আশুরার প্রস্তুতি চলছে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে জমি জবর দখলের চেষ্টায় থানায় অভিযোগ! লালমনিরহাটে জেলা প্রেস ক্লাব লালমনিরহাট এর কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে জেলা ট্রাক, ট্যাংকলড়ী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদকে বহিস্কার! লালমনিরহাটে বিএসটিআই এর মোবাইল কোর্টের অভিযানে ৩৫হাজার টাকা জরিমানা
ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত লালমনিরহাটের কৃষক

ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত লালমনিরহাটের কৃষক

আলোর মনি রিপোর্ট: চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের এ সময়ে ধান পরিচর্যা করছেন লালমনিরহাট জেলার কৃষক ও শ্রমিকরা। রোপা-আমন শেষে ইরি-বোরো চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন তারা। বর্তমানে ধান গাছের পরিচর্যায় যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের।

 

কৃষি নির্ভর লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার প্রায় ৮০ ভাগ মানুষের ফসল উৎপাদন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে।

 

গত রোপা-আমন মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ায় অনেক কৃষকের পাকা ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তবে ধান ও খড় তেমন পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ধানের দাম ভালো। এতে লোকসান কাটিয়ে কোনো রকমে উৎপাদন খরচ জুটছে কৃষকের কপালে।

 

এমনটি বলছিলেন কোদালখাতা গ্রামের কৃষক কমল কান্তি বর্মন। রোপা-আমন কর্তন শেষে ইরি-বোরো চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন কৃষক ও শ্রমিকরা। বাড়ির আশপাশে বিস্তীর্ণ ইরি-বোরো ফসলের মাঠ, সবুজে সমারোহ। কেউ ধান গাছের আগাছা পরিস্কার করছেন। আবার কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।

 

ফুলগাছ গ্রামের কৃষক মোঃ হযরত আলী ভাষায় এ লালমনিরহাট জেলায় ইরি-বোরো’র বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিতে হাইব্রীড জাতের ধান চাষ করা হয়। তবে যেসব জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণ করা হয়েছে, কেবল ওই জমিতে হাইব্রীড ধান রোপণ হবে। ধান গাছের চেহারায় তিনি মুগ্ধ। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ ও আগাছা পরিস্কারে ব্যস্ত রয়েছেন আর সব কৃষকের মতো তিনিও।

 

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ৮০হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।

 

ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ্রী মুকুল চন্দ্র সরকার বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ইরি-বোরো লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে কৃষক গোলায় উঠাবেন সোনার ফসল এমন প্রত্যাশায় আশাবাদি তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone