শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
আজ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ফুলগাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম এর অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত রূপালী ব্যাংক পিএলসি লালমনিরহাট কর্পোরেট শাখার নতুন ভবনে শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত বিলুপ্তির পথে কাউন চাষ জারুল ফুলের মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে হাতীবান্ধায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ১০ হলুদ রঙ্গে সোনালু ফুল ফুটেছে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২জনসহ ১০প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ! ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের প্রধান শিবলু লোমান চৌধুরী গ্রেফতার! লালমনিরহাট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
ভারতের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তিস্তা মহাপ্রকল্পের কাজ চীনকে দিয়ে করাবে বাংলাদেশ!

ভারতের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তিস্তা মহাপ্রকল্পের কাজ চীনকে দিয়ে করাবে বাংলাদেশ!

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: বছরের পর বছর ভারতের সাথে কূটনৈতিক ভাবে তিস্তা নদীর ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমস্যার সমাধান চাওয়া হলেও ভারতীয় পক্ষ থেকে কার্যত বিষয়টি অচল করে রাখা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনকে দিয়ে ‘তিস্তা নদী মহা ব্যবস্থাপনা এবং পুনর্বাসন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করার। খবর: ডিফেন্স রিসার্চ

শুধু এখানেই শেষ নয়। এর অর্থায়নের জন্য চীনের কাছে $৯৮৩.২৭মিলিয়ন ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ!

বর্তমান পরিস্থিতিতে তিস্তার দুই পাশে প্রতি বছর বন্যা হচ্ছে যার কারনে নদীর দুই পাড়ে ভাঙ্গণ দেখা দিচ্ছে। আবার শুকনো মৌসুমে পানির তীব্র সঙ্কটে কৃষি কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

 

৩শত ১৫কিলোমিটারের ভেতর ১শত ১৩কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। তিস্তার উজানে ভারতের সিকিমে তিনটির বেশি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে দুটি সেচ প্রকল্প রয়েছে এই নদীর পানি সরিয়ে। উজানে ভারতের বাঁধের জন্য শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশ পানি পাচ্ছে না।

 

বিগত ৮বছর যাবত পশ্চিমবঙ্গের মূখ্য মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তীব্র বিরোধীতায় আটকে আছে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি।

বাংলাদেশ চীনের অর্থায়নে এবং সহায়তায় যেই প্রকল্প নিচ্ছে এতে বন্যাও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে সেই সাথে শীত মৌসুমে পানির অভাব আর থাকবে না।

 

কি কি পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ:-

১. তিস্তা নদীর দুই পাড় মিলিয়ে ২শত ২০কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট উঁচু গাইড বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

২. বাঁধের দুই পাশে থাকবে প্রশস্ত রিভার ড্রাইভ রোড।

৩. নদীর পাড়ে গড়ে তোলা হবে হোটেল, রেষ্টুরেন্ট।

৪. নদীর গভীরতা হ্রাস পেয়ে প্রশস্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই নদী গভীর করে খনন করা হবে।

৫. আর নদীর প্রশস্ততা এখন কোথাও ৮কিলোমিটার কোথাও ১২ কিলোমিটার। শুস্কমৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে দেখা দেয় মরুভূমির মত। তাই এটাকে কমিয়ে ২কিলোমিটার করা হবে।

৬. নদী থেকে প্রায় ৮শত ৮০বর্গকিলোমিটার জমি উদ্ধার হবে। (গড় ১০কিলোমিটার প্রশস্ততা ধরা হয়েছে। তার থেকে ২কিলোমিটার নদী রেখে ৮কিলোমিটার উদ্ধারকৃত জমি হিসাবে ১শত ১০কিলোমিটার নদীতে ৮শত ৮০কিলোমিটার এর মত হয়)

৭. উদ্ধারকৃত জমিতে ১শত ৫০মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হবে।

৮. উদ্ধারকৃত নদী পাড়ে থাকবে ইকোনমি জোন।

৯. নদী খনন করে গভীরতা বাড়িয়ে চালু করা হবে নৌ রুট।

১০. নতুন জমিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য আবাসিক এলাকা তৈরি হবে।

১১. উদ্ধারকৃত জমি ভূমিহীনদের মাঝে কৃষি কাজের জন্য বিতরণ করা হবে।

১২. ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৮হাজার কোটি টাকা।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone