শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের যৌক্তিক দাবীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি! ভারতের সিকিম রাজ্যের প্রাক্তণ শিক্ষা মন্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার! লালমনিরহাটে ২ ছাত্রলীগের নেতার পদত্যাগ! লালমনিরহাটে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সন্তান কমান্ডের মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান লালমনিরহাটে পবিত্র আশুরার প্রস্তুতি চলছে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে জমি জবর দখলের চেষ্টায় থানায় অভিযোগ! লালমনিরহাটে জেলা প্রেস ক্লাব লালমনিরহাট এর কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে জেলা ট্রাক, ট্যাংকলড়ী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদকে বহিস্কার! লালমনিরহাটে বিএসটিআই এর মোবাইল কোর্টের অভিযানে ৩৫হাজার টাকা জরিমানা
শিক্ষার মানোন্নয়নের খবর নেই

শিক্ষার মানোন্নয়নের খবর নেই

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন, ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হলেও শিক্ষার মানোন্নয়ন হচ্ছে না।

 

উপরন্ত দিনের পর দিন শিক্ষকদের পাঠদানে উদাসীনতা এবং প্রাইভেট ও কোচিংয়ের প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়ার কারণে শিক্ষার মান ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলায় উচ্চ মাধ্যমিক (কলেজ), মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক (হাইস্কুল), মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

 

এসব উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লক্ষ লক্ষ ছাত্র, ছাত্রী লেখাপড়া করে ।

 

তবে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যাই বেশি। উপবৃত্তি চালু থাকায় ছাত্র, ছাত্রীদের উপস্থির হার অনেকটা বেড়েছে।

 

লালমনিরহাট জেলার বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে দ্বিতল-ত্রিতল আধুনিক ভবন নির্মিত হয়েছে।

 

প্রতিষ্ঠানগুলোতে টিনের ঘর নেই বললেই চলে। পাশাপাশি সরকারিভাবে চাল, গম বরাদ্দ দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠগুলোও সংস্কার করা হয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৌচাগার এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে।

 

কিন্তু এতসব উন্নয়ন সত্ত্বেও বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মানোন্নয়ন হয়নি।

 

আরও জানা যায়, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তথা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় মেধাবী প্রার্থীরা নিয়োগ পাইনি। তাছাড়া যে সকল প্রতিষ্ঠানে ২/৪জন ভাল শিক্ষক রয়েছে তারাও শ্রেণি কক্ষে পাঠ দানের চেয়ে প্রাইভেট এবং কোচিং করাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

 

অবশ্য এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদেরও তেমন মাথাব্যাথা নেই। এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটিরও না। ফলে এ সুযোগে শিক্ষকরা শিক্ষার মানোন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা না রেখে দায়সাড়া গোছের পাঠদান করছেন।

 

ফলে জেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার মান দিনের পর দিন নিম্নগামী হচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone