শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
আজ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ফুলগাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম এর অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত রূপালী ব্যাংক পিএলসি লালমনিরহাট কর্পোরেট শাখার নতুন ভবনে শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত বিলুপ্তির পথে কাউন চাষ জারুল ফুলের মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে হাতীবান্ধায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ১০ হলুদ রঙ্গে সোনালু ফুল ফুটেছে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২জনসহ ১০প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ! ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের প্রধান শিবলু লোমান চৌধুরী গ্রেফতার! লালমনিরহাট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
প্রতারকের ফাঁদে পড়ে বিপন্ন এক কিশোরীর জীবন!

প্রতারকের ফাঁদে পড়ে বিপন্ন এক কিশোরীর জীবন!

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রতারকের ফাঁদে পড়ে বিপন্ন এক কিশোরীর জীবন। এখন নিরুপায় হয়ে ন্যায় বিচারের জন্য সকলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে কিশোরীর পরিবার।

 

এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের জোড়াশাল পাগলা বাজার গ্রামের মৎস্যজীবী সুদাব চন্দ্র দাসের কিশোরী মেয়ে। ১০ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতেন। মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে দুঃখের সংসারে হাসি ফোটার স্বপ্ন ছিল সুদাবের। কিন্তু তার সে স্বপ্ন বাস্তবে নিল ভিন্নরূপ। প্রতিবেশী ২সন্তানের জনক সুধান চন্দ্র দাস ওই মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে আসে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে কিশোরীটি ১০মাসের অন্তঃসত্বা হয়। কিন্তু কিশোরীটিকে বিয়ে করতে নারাজ ধর্ষক সুধান চন্দ্র দাস।

 

এক পর্যায়ে কিশোরীটি নিরুপায় হয়ে সুধান চন্দ্র, সহযোগী হোসেন আলী, সুবির চন্দ্র দাস ও পালন চন্দ্র দাসকে আসামী করে হাতীবান্ধা থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন। সুচতুর সুধান চন্দ্র দাস ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে হোসেন আলীকে নিয়ে কিশোরীর পরিবারকে ফুঁসলে ফাঁসলে বিভিন্ন ধরণের লোভ দেখিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে বিয়ে করেন।

 

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু ওই সমঝোতা বৈঠকে নেতৃত্ব দেয়। বিয়ের ২দিন পরেই কিশোরীটি একটি নবজাতকের জন্ম দেয়। সমঝোতা বৈঠকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু সুধান চন্দ্র দাসকে ২৩শতাংশ জমি কবলা করে দেয়ার চাপ দেয়। বিয়ের আড়াই মাসের মধ্যে পাচারের উদ্দেশ্যে মেয়েটিকে হোসেন আলীর সহযোগিতায় ঢাকায় নিয়ে যান।

 

পরবর্তীতে আনোয়ার হোসেন মিরুর সহযোগিতায় মেয়েটিকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করলেও তার সন্তানকে অন্যের কাছে দত্তক দেয়। পরে উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরী হাতীবান্ধা থানায় শিশু উদ্ধারের অভিযোগ করলে হাতীবান্ধা থানা শিশুটিকেও উদ্ধার করে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে আসামীরা গা ঢাকা দেয়।

 

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু বলেন, ধর্ষণের মামলার বিষয়ে আমার তেমন কোন তথ্য জানা ছিলনা। তবে উভয় পরিবারের সম্মতির কারণে আমি সমঝোতা করেছি মাত্র।

 

হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন, এ বিষয়ে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আসামীরা পলাতক রয়েছে। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে কিশোরীটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone