সীমান্তে বাংলাদেশী যুবক গুলিবিদ্ধ হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কে বিজিবি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় যে, অদ্য ২২ ডিসেম্বর কিছু স্থানীয় অনির্ভরযোগ্য সূত্র মোতাবেক একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধীনস্থ দৈখাওয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার প্রতিপক্ষ বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে এ ব্যাপারে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে অধিনায়ক ১৫ বিজিবি এবং প্রতিপক্ষ ৭৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের সাথে কথা বলা হয়। এছাড়াও বিওপি পর্যায়ে দৈখাওয়া বিওপি কমান্ডার ও প্রতিপক্ষ শিষরাম ক্যাম্প কমান্ডার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে উভয়ই সীমান্তে কোন প্রকার মরনঘাতী/অ-মরণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্র মোতাবেক আহত ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার গোতামারী গ্রামের মোঃ হারুন অর রশিদের ছেলে মোঃ রনি (২২) এর বাড়িতে বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার গমন করতঃ তার পিতার সাথে সরেজমিনে কথা বললে তিনি জানান যে, গুলি লেগে আহত হওয়ার বিষয়টিও তিনি অবগত নয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, উক্ত ব্যক্তি এলাকায় মাদক বহনকারী হিসেবে চিহিৃত, যার নামে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে উক্ত ঘটনার কোন প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি তবে বিভিন্ন মাধ্যম হতে জানা যায় যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি রাবার বুলেট (যা শরীরে প্রবেশ করে না) দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার উদ্দেশ্যে রংপুরে গমন করেতে পারে।
উল্লেখ্য, এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।