শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলার প্রার্থীরা ব্যস্ত প্রচারণায়! লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ্যাডঃ মোঃ ইকবাল হোসেন মামুন শ্রমিক নেতা হত্যা মামলায় পাঁচ বিএনপির নেতা কারাগারে! লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হেলাল হোসেন কবিরের উন্নয়ন ভাবনা! উপজেলা নির্বাচনে কালীগঞ্জ ও আদিতমারীতে চেয়ারম্যান পদে ৫জনসহ ২০প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ! ভূট্টার ব্যাপক আবাদ ও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা এমপি পুত্রের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে মনোনয়ন পত্র বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলফনামায় তথ্য গোপন করায় রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারের নিকট অভিযোগ অগ্নিকান্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই লালমনিরহাটের ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
তিস্তা নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া সেই মৌসুমীর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ

তিস্তা নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া সেই মৌসুমীর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট: করোনা ভাইরাস সন্দেহে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক মৌসুমী আক্তার (২২) এর লাশ তিস্তা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না বলে গতকাল বুধবার ২৭ মে রাত সাড়ে ১১টায় নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায়।

এর আগে মৌসুমী আক্তারের নমুনা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। মৃত মৌসুমী আক্তার লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের সরকারের হাট এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী।

আদিতমারী থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকারি ব্যাগে মোড়ানো মর্গের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইউডি মামলা করা হয়েছে। মৃতের পরিচয় জানার পরে মেয়ের বাবার আকুতি শুনে পুলিশ সুপারের নির্দেশে দুই থানা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে মরদেহ তার গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

জানা গেছে, মৌসুমী আক্তার কাজ করতেন গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায়। ২২বছর বয়সী এই পোশাক শ্রমিক অসুস্থতা নিয়ে গত ২১ মে ট্রাকে করে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। ওই ট্রাকেই তার মৃত্যু হয়। করোনা ভাইরাস সন্দেহে পরের দিন লাশটি ফেলে পালিয়ে যায় ট্রাকচালক।

পরের দিন রংপুরের তাজহাট থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে পরের দিন হাসপাতালে ছুটে যান তার বাবা। তিনি লাশ গ্রামে কবর দিতে চাইলে বাধা দেন স্থানীয় চেয়ারম্যান। পরে লাশবাহী গাড়ির চালককে ৫হাজার টাকা দিয়ে লাশটি দাফন করতে বলেন সেই বাবা।

কিন্তু লাশটি দাফন না করে তিস্তা নদীতে ফেলে দেয় ওই লাশবাহী গাড়ির চালক। সেই লাশ গত রোববার উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান মৌসুমীর বাবা। পরে প্রশাসনের নেতৃত্বে সোমবার ঈদের দিন বিকেলে মরদেহের জানাজা শেষে নিজ গ্রামে তাকে দাফন করে পুলিশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone