শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
লালমনিরহাট পৌরসভার রাজনীতিতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোঃ রেজাউল করিম স্বপন

লালমনিরহাট পৌরসভার রাজনীতিতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোঃ রেজাউল করিম স্বপন

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

 

তিনি এলেন জয় করলেন এমনটা নয়। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যদিয়ে সময়ের পরিক্রমায় লালমনিরহাট পৌরসভার রাজনীতিতে মোঃ রেজাউল করিম স্বপন নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। ব্যক্তি ইমেজকে কাজে লাগিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সমর্থনে তিনি বাংলাদশ ছাত্রলীগ থেকে বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তিনি রাজনীতিকে তাঁর দায়িত্ব কালীন সময়ে শক্তিশালী ও বেগবান করেছেন। তারপর সরকারি দলের পদবী থাকা সত্বেও নিজের প্রভাব না খাটিয়ে সৎ রাজনৈতিক হিসেবে জীবন যাপন করে আসছেন। নিন্দুকেরা যে যাই বলুক মোঃ রেজাউল করিম স্বপন অত্যন্ত মেধা প্রজ্ঞার মাধ্যমে লালমনিরহাট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন।

চলমান করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় তিনি তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে নিজের অর্থায়নে ও উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী পৌচ্ছে দিতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করেছেন। এখন লালমনিরহাট পৌরসভার রাজনীতিতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে তিনি। তিনি তাঁর মনের মাধুরী দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন লালমনিরহাট পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সমর্থন পাবেন বলে তিনি আশাবাদী ও সাধারণ মানুষও তাই মনে করেন। সেই সাথে তিনি মনে করেন একজন দক্ষ রাজনীতিবিদের মধ্যে যে জনসেবার মনোভাব এবং সততা থাকা উচিত তা তার মধ্যে আছে।

 

একনজরে মোঃ রেজাউল করিম স্বপন:

 

নামঃ মোঃ রেজাউল করিম স্বপন। পিতার নামঃ মৃত আলহাজ্ব নবিয়ার রহমান। মাতার ননামঃ মোছাঃ রওশন আরা বেগম। জন্মঃ ১৮ জানুয়ারি, ১৯৭৬ইং। শিক্ষাঃ ১৯৯২ সালে লালমনিরহাট মডেল হাই স্কুল হতে এসএসসি পাস করেন। ১৯৯৪ সালে লালমনিরহাট সরকারি কলেজ হতে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৯৯ সালে ভারতের আলীগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় হইতে স্নাতক পাস করেন। ৩ভাই ও ২বোনের মধ্যে তিনি সর্ব কনিষ্ট। লালমনিরহাট পৌরসভার থানাপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা তিনি। স্ত্রীর নামঃ মোছাঃ জাকিয়া সুলতানা। সন্তান- ২কন্যা ও ১পুত্র সন্তানের জনক। কন্যারা হলেন- ছামানিয়া জান্নাতি ও জান্নাতুল ফেরদৌস। পুত্র হলেন- সরফরাজ ইউসুফ।

 

তিনি ১৯৯৩ সালে লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্যানেলে এজিএস নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার ২বারের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৬ সালে সম্মিলিত গোশালা রোড ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনে কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ যুবলীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪ সালে লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনে এসোসিয়েট গ্রুপ-এ সর্বোচ্চ ভোটে পরিচালক নির্বাচিত হন। এখন পর্যন্ত তিনি তিন তিন বারের পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।

 

ব্যবসাঃ মেসার্স অন্তু এন্টারপ্রাইজ (ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান), মেসার্স মডার্ণ রাইস মিল, মেসার্স জারা ট্রেড লিংক- এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পরিবেশকঃ বসুন্ধরা সিমেন্ট।

 

তিনি ১৯৯২ সাল হতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি লালমনিরহাট সদর উপজেলা রাইস মিল মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। ২০১৪ সালে লালমনিরহাট জেলার সর্বোচ্চ করদাতা ও ২০১৫ সালে লালমনিরহাট জেলার সর্বোচ্চ করদাতা নির্বাচিত হয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সম্মাননা ও ক্রেস্ট পেয়েছেন তিনি। তিনি লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ২নং ফুলগাছ আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। লালমনিরহাট পৌরসভার কাজীপাড়া জামে মসজিদ ও মুন্সীপাড়া জামে মসজিদের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি যেমন একজন সফল ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী তেমনি একজন সফল রাজনীতিক। তিনি সদা হাস্যোজ্বল ও বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ব্যক্তি হিসাবে সর্বজন বিদিত। তার নেতৃত্বের গুণাবলী অনেকের পাথেয় হতে পারে।

 

মোঃ রেজাউল করিম স্বপন আলোরমনিডটকমকে বলেন, সকলের ভালোবাসা পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ, লালমনিরহাট পৌরবাসীর ভালোবাসা ও সহযোগিতায় আদর্শ ও সেবাদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মডেল পৌরসভা গঠনে থাকতে চাই সবার সাথে। আপনাদের দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে চাই, হতে চাই আপনাদের সুখ-দুঃখের সাথী।

 

তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone