শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে আমন চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের! স্বাধীনতার ৫৩বছর পেরিয়ে গেলেও লালমনিরহাটের খোরারপুলে হয়নি সেতু! লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হাত বদলে বাড়ে সবজির দাম; বঞ্চিত হন লালমনিরহাটের চাষিরা! ছাত্রদলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি; মুছলেকা দিয়ে ছাড়া পেলো যুবক! বিজিবি ও ছাত্রজনতা স্বেচ্ছাশ্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্ত রাস্তা মেরামত! লালমনিরহাটের চাষীদের বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে লালমনিরহাট জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মাষকলাই (ঠাকরি কালাই) চাষ! লালমনিরহাটে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক নাটক প্রদর্শন অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাটে অবাদে বালু উত্তোলন করছে ভূমি দস্যুরা

লালমনিরহাটে অবাদে বালু উত্তোলন করছে ভূমি দস্যুরা

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ওয়াবদা বাজার ও শিবেরকুটি এলাকার দুটি পয়েন্ট থেকে অবাদে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে একদল ভূমি দস্যু।

 

দীর্ঘদিন যাবৎ ধরলা নদী থেকে তারা বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অধিক পরিমাণে বালু উক্তোলন করার ফলে এলাকার কৃষি জমির মারাত্মকভাবে ক্ষতি  সাধিত হচ্ছে। ঐ এলাকাসহ আশেপাশের বেশকিছু এলাকা শেখ হাসিনা ধরলা সেতু, কুলাঘাট রত্নাই নদীর উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ স্ট্রীল ব্রীজ, চর শিবেরকুটির ভাংগা ওয়াবদা বাঁধ এবং শেখ হাসিনা ধরলা সেতু নিরাপদে রাখার জন্য নদীর দুই পাড়ে বুলেট দিয়ে যে বাঁধ তৈরী করা হয়েছিল সেটিও মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে।

 

ভূমি দস্যুদের উত্তোলনকৃত বালু ও মাটি লালমনিরহাট জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়। কুলাঘাট ঝুঁকিপূর্ণ  স্ট্রীল ব্রীজের উপর দিয়ে শতাধিক বালুভর্তি ট্রাক্টর  প্রতিনিয়ত পাড়াপাড় হওয়ার ফলে উক্ত ব্রীজটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ বিষয়টি লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায়কে জানানো হলে তিনি ঘটনাস্থলে যান, তাঁর উপস্থিতি জানতে পেরে ভূমিদস্যুরা পালিয়ে যায়।  ইউএনও ফিরে আসার পর আবার বালু উত্তোলন শুরু করে ভূমিদস্যুরা। এ বিষয়ে প্রশাসন নির্বিকার। বালু ব্যবসায়ীদের হাত অনেক লম্বা ও বিত্তবান হওয়ায়, স্থানীয়দের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা ভয়ে কিছু বলতে চায়নি।

 

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুলাঘাট ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান আলী সবুজ সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে দুটি পয়েন্টের মধ্যে ১টি পয়েন্ট বন্ধ আছে, ওয়াবদা বাজারের পূর্বপাশে আরেকটি পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন ও বিক্রি কার্যক্রম চালু আছে।

 

তিনি আরও সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জোবাইদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মন্টু, আব্দুল জব্বার, এমদাদুল হক, মিলন বিশ্বাস, স্বপন সরকার, হারুন অর রশিদ, কামিনী কান্তি রায় ও মুকুল  স্বাক্ষরিত বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী ভূমি কমিশনারের কার্যালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ২নং কুলাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, অফিসার ইনচার্জ ও প্রেসক্লাব বরাবরে অভিযোগ দেওয়া হয়।

 

ওয়াবদা বাজার ও শিবেরকুটি এলাকাবাসীর জোড়ালো দাবি যাতে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone