শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে উপজেলা চেয়ারম্যান ৭, ভাইস চেয়ারম্যান ১০, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৬জন বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থী; ১জন চেয়ারম্যানের মনোনয়নপত্র বাতিল! প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ শুভ উদ্বোধন এবং আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত মানবিক সহায়তা (ঢেউটিন ও টাকা) বিতরণ অনুষ্ঠিত এমদাদুল সিন্ডিকেটের এক সদস্য গ্রেফতার! সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ লালমনিরহাটের ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ লালমনিরহাটের শখের বাজার সড়কের পথচারীরা, কর্তৃপক্ষ নির্বিকার লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে ঘুঘু পাখি! একুশ বছর
লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী আমগাছ

লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী আমগাছ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ: বিশাল আকৃতির এ গাছটি একটি আমগাছ। লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা গ্রামের কেদালখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আমগাছটি প্রকৃতির আপন খেয়ালে বেড়ে উঠে আজ ইতিহাস হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শুধু কোদালখাতার মানুষের কাছে নয়, এই আমগাছটি এখন বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা লালমনিরহাট জেলায়। গাছের মূল থেকে ডালপালাকে আলাদা করে দেখতে চাইলে রীতিমত ভাবতে হয়। আমগাছটির ব্যতিক্রমী অনেককে আকৃষ্ট করে। শত ব্যস্ততার মধ্যে একটু সময় করে ছুটে গিয়ে চোখ জুড়ানোর লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই। ব্যতিক্রমী এই আমগাছ পশ্চাৎপদ লালমনিরহাট উপজেলাকে অনেকের কাছে আজ পরিচিত করে তুলেছে। টেংটেগালী লালমনিরহাটের মানুষের প্রিয় একটি আমের জাত। সুস্বাদু, সুগন্ধী, রসালো আর ছোট আটি জাতটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সেই টেংটেগালী জাতের বিশাল আকৃতির আমগাছটি দাঁড়িয়ে আছে প্রায় অনেকটা জায়গা জুড়ে। উচ্চতা আনুমানিক ৮০-৯০ ফুট। আর পরিধি ২০ ফুটের কম নয়। মুল গাছের ৩ দিকে ৩টি মোটা মোটা ডালপালা বেড় হয়েছে। বয়সের ভারে গাছের ডালপালা গুলো নুয়ে পড়লেও গাছটির শীর্ষভাগে সবুজের সমারোহ, সবুজ আমে টইটম্বুর থাকে। আমগুলোর ওজন ১০০ গ্রাম থেকে ১৫০ গ্রাম। স্থানীয়দের কাছে এই আমগাছের ইতিহাস অনেক পুরোনো। অনেকেই গাছটির বয়স অনুমান করতে চেষ্টা করেন। কেউ বলেন ৮০বছর, আবার কেউ বলেন ৮১বছর। তবে এলাকার বয়োজেষ্ঠ্যরাও গাছটির বয়স কত তার সঠিক ভাবে বলতে পারেন না।

তাঁরা বলেন, কোন সময় আমগাছটি লাগানো হয়েছে তা জানা নেই। তবে কোদালখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪০ সালে স্থাপিত হয়েছে। প্রাচীন এই গাছটি সম্পর্কে প্রবীণরা জেনেছেন তাঁদের বাপ-দাদার কাছ থেকে।

 

তারা আরও জানান, এই আমগাছের সঙ্গে একটি ফুলগাছ লাগানো হয়েছিলো। এখনও আম ও ফুলগাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফুলগাছটির নাম নিয়ে রয়েছে মতভেদ। বিভিন্ন নাম বলেন। কেউ বলেন কড়ি ফুল, অন্য কেউ বলেন, খুদি ফুল, আবার অনেকেই বলেন কামিনী ফুলগাছ।

 

আমগাছটির বয়স অনুমান করা যায়, গাছটির বয়স ৮০-৮১বছরের কম নয়।

 

কিভাবে যাওয়া যায়: গাড়ীয়াল ভাইয়ের গরু/মহিষের গাড়ি এক সময়ের একমাত্র পথ চলার বাহন হলেও এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না। ঢাকা থেকে সড়ক পথে বিলাসবহুল বাস ও ট্রেন যোগে সরাসরি লালমনিরহাট সদর উপজেলায় খুব সহজেই পৌছানো যায়। সড়ক পথে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের দুরত্ব প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার। বিমানপথে সৈয়দপুরে পৌছে সড়ক পথে লালমনিরহাট নির্বিঘ্নে পৌছানো যায়। লালমনিরহাট সদর উপজেলায় অধিকাংশ মূল সড়ক পাকা হলেও আনাচে কানাচে কাচা সড়ক পরিলক্ষিত হয়। বেলে মাটি হওয়ায় বর্ষার মৌসুমেও কাচা সড়ক চলাচলের উপযোগী থাকে। লালমনিরহাট জেলা শহর হয়ে সাপটানা বাজার দিয়ে/ ভাটিবাড়ী বাজার চৌরাস্তা দিয়ে রিক্সা, অটো, ইজিবাইক দিয়ে এই ৮০-৮১বছরের ঐতিহ্যবাহী আম গাছ পরিদর্শন করা যাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone