শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে উপজেলা চেয়ারম্যান ৭, ভাইস চেয়ারম্যান ১০, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৬জন বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থী; ১জন চেয়ারম্যানের মনোনয়নপত্র বাতিল! প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ শুভ উদ্বোধন এবং আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত মানবিক সহায়তা (ঢেউটিন ও টাকা) বিতরণ অনুষ্ঠিত এমদাদুল সিন্ডিকেটের এক সদস্য গ্রেফতার! সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ লালমনিরহাটের ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ লালমনিরহাটের শখের বাজার সড়কের পথচারীরা, কর্তৃপক্ষ নির্বিকার লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে ঘুঘু পাখি! একুশ বছর সেই বাসী চাঁদ
লালমনিরহাটে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের সিঁড়িতে ওঠা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক

লালমনিরহাটে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের সিঁড়িতে ওঠা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার বিজ্ঞান শাখার শিক্ষকদের নিয়ে ‘উদ্ভাবনে মজার বিজ্ঞান’র যাত্রা শুরু হয়েছে।

 

আজ বুধবার (২০ জানুয়ারি) হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস কালীমোহন তফশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে এর যাত্রা শুরু হয়।

 

ওই অনুষ্ঠানের ফটোসেশনে দেখা যায়, অনেকেই শহীদ মিনারের সিঁড়িতে জুতা পায়ে উঠেছেন। এমন ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা দিয়েছে বিতর্ক।

 

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন সাগরের দাবি, জুতা পায়ে শহীদ মিনারের সিঁড়িতে ওঠা দোষের কিছু নয়। তবে বেদীতে ওঠা ঠিক নয়। আর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক রোকনুরজ্জামান সোহেল বলছেন, তারা জুতা পায়ে শহীদ মিনারের সিঁড়িতে উঠে কাজটা ঠিক করেনি।

 

তবে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলছেন, জুতা পায়ে শহীদ মিনারের সিঁড়ি বা বেদীতে না ওঠা আমাদের শিষ্টাচার। এটা মানা উচিৎ।

 

জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার বিজ্ঞান শাখার শিক্ষকদের নিয়ে নওদাবাস কালীমোহন তফশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘উদ্ভাবনে মজার বিজ্ঞান’ নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে নওদাবাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশ্বিনী কুমার বসুনিয়া, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদলের সম্পাদক সামসুজ্জামান সেলিম, সাবেক অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান, নওদাবাস কালীমোহন তফশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন সাগরসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানের কোনো এক সময় তারা ওই বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গিয়ে ফটোসেশন করেন, যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করা হয়েছে।

 

সেই ছবিতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন শিক্ষক জুতা পায়ে শহীদ মিনারের সিঁড়িতে উঠে ফটোসেশনে অংশ নিয়েছেন। এমন ছবি দেখে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।

 

এ প্রসঙ্গে নওদাবাস কালীমোহন তফশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন সাগর সাংবাদিকদের বলেন, জুতা পায়ে শহীদ মিনারের সিঁড়িতে ওঠা দোষের কিছু নয়। তবে বেদীতে ওঠা ঠিক নয়। সিঁড়ি আর বেদী এক নয়। আমরাতো মসজিদের সিঁড়িতে জুতা রেখে মসজিদে প্রবেশ করি।

 

তার এ যুক্তি মানতে নারাজ হাতীবান্ধা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান সোহেল।

 

তিনি বলেন, শহীদ মিনারের সিঁড়িতে জুতা পায়ে উঠে মোটেও ঠিক করেনি। তাদের মনে রাখার উচিৎ ছিলো, শহীদ মিনার আমাদের কতটা শ্রদ্ধার স্থান। একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের উপস্থিতিতে এমন পরিস্থিতি দুঃখজনক।

 

হাতীবান্ধা উপজেলার মুক্তিযুদ্ধকালীন সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জুতা পায়ে শহীদ মিনারের সিঁড়িতে ওঠা ঠিক কী না, তা নিয়ে আমি কথা বলবো না। আমি বলবো, আমরা শহীদ মিনারের সিঁড়ি বা বেদী কোনোটাইতেই জুতা পায়ে না উঠি। এটা আমাদের শিষ্টাচার। আমরা যুগে যুগে তা মেনে চলে আসছি, যা আমাদের মানা উচিৎ বলে আমি মনে করি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone