শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
ভূট্টার ব্যাপক আবাদ ও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা এমপি পুত্রের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে মনোনয়ন পত্র বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলফনামায় তথ্য গোপন করায় রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারের নিকট অভিযোগ অগ্নিকান্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই লালমনিরহাটের ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল সেই আলোচিত শ্রমিক লীগ নেতা হত্যা মামলায় দুই বিএনপির নেতা কারাগারে! লালমনিরহাটে ডান চোখ তুলে নিয়েছে, এখন বাম চোখও উপড়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের এমপি নূরুজ্জামান আহমেদের ছেলে ও ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী! লালমনিরহাটে ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত, ট্রেনে কাটা পড়ে রেল কর্মচারী নিহত! কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
লালমনিরহাটে মালদহ নদীতে একটি সেতুর জন্য ৪৯বছর ধরে অপেক্ষা

লালমনিরহাটে মালদহ নদীতে একটি সেতুর জন্য ৪৯বছর ধরে অপেক্ষা

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন নদী পাড়াপাড় হয় প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। মালদহ নদীর মহিষতুলি-আমতলা মহিষতুলি ঘাট পয়েন্টে একটি সেতু না থাকায় স্বাধীনতার ৪৯বছর ধরে এভাবেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কয়েকটি গ্রামের মানুষ। খেয়া নৌকায় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এ অঞ্চলের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ পাড়াপাড় হয়। নদীর পূর্ব পাড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসা এবং মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। ওই নদী পাড় হয়ে ওই পাড়ের মানুষ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। এছাড়া পশ্চিম পাড়ের মানুষের উপজেলা ও জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকার সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী মাধ্যমও এটি। স্থানীয় শমসের আলী ৪০হাজার টাকায় খেয়াঘাটটি ইজারা নিয়েছেন। নৌকায় পার হতে বাৎসরিক ভাবে এখানে বসবাসরত বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে অনুপাতে টাকা নেওয়া হয়। এছাড়া দূরের এলাকা থেকে আসা মানুষের ক্ষেত্রে নগদ টাকা নেওয়া হয়।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের মহিষতুলি এলাকায় মহিষতুলি-দূর্গাপুর সড়কে মালদহ নদীটি অবস্থিত।

 

জানা যায়, একটি সেতুর জন্য পশ্চিম পাড়ের মহিষতুলি, তালুক দুলালী, লোহাকুচি, বাকদীর বাজার, ফলিমারী, দুলালী, বলাইড়হাট, হাজীগঞ্জ, কালীস্থান ও পূর্ব পাড়ের আমতলা, ভেলাবাড়ী, কৈমারী, দূর্গাপুর, দীঘলটারী, সঠিবাড়ী, খানকার চওড়া গ্রামের প্রায় হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

 

আরও জানা যায়, মালদহ নদীটির পূর্ব-পশ্চিম পাড়ের কয়েক হাজার মানুষের উৎপাদিত ফসল নিয়ে অতিকষ্টে ওই নদী পারাপার হয়ে থাকে। লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের মহিষতুলি এলাকায় মহিষতুলি-দূর্গাপুর সড়কে মহিষতুলি ঘাট সংলগ্ন মালদহ নদীর এই পয়েন্ট দিয়ে যুগ যুগ ধরে এভাবেই দুর্ভোগ নিয়ে পাড়াপাড় হচ্ছে এসব এলাকার মানুষ। স্বাধীনতার পর থেকে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন বহুবার। ভোগান্তী লাঘবের জন্য মালদহ নদীর এই ঘাটে একটি সেতুর দাবি রয়েছে এলাকাবাসীর।

 

মালদহ নদীর খেয়াঘাটের মাঝি প্রভাত চন্দ্র বর্মন (৪৬) বলেন, খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিবার পাড় হলে সাইকেলসহ জনপ্রতি নৌকা ভাড়া দিতে হয় ৫টাকা। প্রতি মোটর সাইকেলের জন্য অতিরিক্ত আরও ৫টাকা দিতে হয়।

 

উত্তর গোবধা গ্রামের আলম মিয়া (৬৮) বলেন, প্রতিদিন প্রয়োজনে মালদহ নদী নৌকায় পাড়ি দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।মালদহ নদীতে একটি সেতু না হওয়ায় হামারগুলার দুর্ভোগ বাড়ছে।

 

আমতলা দুলালী গ্রামের বিমল চন্দ্র (৩৬) বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রয়ের জন্য নিতে খুবই কষ্ট করতে হয়। হামার কষ্ট দেখার কায়ো নাই। এখানে যাতে একটা ব্রীজ হয় সেই দাবি করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone