শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া দোকান বুঝিয়ে পেলেন এক নিরীহ ব্যবসায়ী

অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া দোকান বুঝিয়ে পেলেন এক নিরীহ ব্যবসায়ী

হেলাল হোসেন কবির: লালমনিরহাট জেলা শহরের স্বর্ণকার পট্টির সাইকেল পার্টস ব্যবসায়ী রাহেল উদ্দিন (৬৫) প্রায় এক যুগ আগে ভাড়ার চুক্তির কথা বলে পরে অবৈধভাবে দখলে নেয়া দোকান পূণরায় আজ শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় দখলে নিয়েছেন। এই অবৈধ দখলমুক্ত করার কাজটি করেছেন লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসায়ী নেতাগণ। লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইনাডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দের এমন মহৎ কাজে সহায়তা করায় সাধারণ নিরীহ ব্যবসায়ীগণ দারুণ খুশি। এই ঘটনায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে স্বর্ণকার পট্টির ব্যবসায়ীরা উল্লাস প্রকাশ করেছে।

 

জানা গেছে, প্রায় ৩৪বছর পূর্বে জেলা শহরের স্বর্ণকার পট্টিতে রেলওয়ে জমি লীজ নিয়ে সাইকেল পার্টসের ব্যবসা পরিচালনা করেন ব্যবসায়ী রাহেল উদ্দিন। ভালো চলছিল ব্যবসা ও সংসার। কিন্তু হঠাৎ প্রায় ১২বছর আগে তাঁর হার্ডের সমস্যা দেখা দেয়। সেই সময় রাহেল উদ্দিন তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি শহরের বিডিআর হাট খোলা গ্রামের মৃত সাহাদত হোসেনের পুত্র ব্যবসায়ী আব্দুল খালেককে মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দেয়। কয়েক মাস ভাড়া দেয়া পর প্রায় ১০বছর পূর্বে ভাড়াটিয়া নিজেই দোকানের মালিকানা দাবি করেন। প্রকৃত মালিককে আর দোকান বাবদ কোন ভাড়া দেয়নি। এমন কী অসুস্থ্য রাহেলের স্ত্রী দোকান ভাড়া আনতে গেলে তাঁকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়। উপায় না দেখে নিরীহ ব্যবসায়ী রাহেল উদ্দিন লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নিকট দোকান উদ্ধারের দাবি জানান। লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি দুই পক্ষকে নোটিশ করে মিমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে সাড়া দেয়নি আব্দুল খালেক। ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক অন্য  এক ফরেন ফার্নিচারের দোকান ব্যবসায়ীকে দোকানটি ভাড়া দেয়।

আজ শনিবার চেম্বারের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি ও স্বর্ণকার পট্টি ব্যবসায়ীদের সামনে নিজের দোকান বুঝিয়ে নিতে দোকানের সার্টার বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দেয় পুরনো দোকান মালিক রাহেল উদ্দিন। এ সময় পূর্ব হতে ফার্ণিচারের ব্যবসা  দোকানে মালামাল আছে বলে দাবি করেন। সেই সাথে তাঁকে দোকান ছাড়ার কোন নোটিশ বা মৌখিক বলা হয়নি বলে দাবি জানান। সেই সাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি মালামাল সরিয়ে নিতে সময় চান। উপস্থিত দোকান মালিক রাহেল উদ্দিন ও ব্যবসায়ী নেতারা এই মুহুর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দোকান বন্ধ রেখে দাবি নিয়ে নেয়। পরে তাঁর ফার্ণিচার সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করবেন। এই সময় সেখানে ব্যবসায়ী আব্দুল খালেকও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও দোকানটি নিজের বলে দাবি করেন। তবে দোকানের মালিকানা দাবির সপক্ষে উপস্থিত কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। কিন্তু দোকান মালিক রাহেল উদ্দিন হালনাগাদ খাজনা, রেলওয়ের লীজের কাগজসহ আনুসাঙ্গিক সকল কাগজ পত্র সংবাদ কর্মীদের ও ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone