শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠণ অনুষ্ঠিত হাত বদলে বাড়ে সবজির দাম; বঞ্চিত হন চাষিরা বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্য, শ্বেত সন্ত্রাস এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ পথসভা ও থানা ঘেরাও অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের “আদিতমারী” ইংরেজি অক্ষরের নাম ফলকটি সৌন্দর্য বর্ধন করছে বড়বাড়ি-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়ক জুড়ে হাট বসায় জনদুর্ভোগ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা ট্রাক, ট্যাংকলড়ী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দৃষ্টি নন্দন সৌন্দর্য হাতিরঝিল সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা! গো-খাদ্যের তীব্র সংকট
কৃষি জমিতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহার : নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা শক্তি

কৃষি জমিতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহার : নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা শক্তি

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটের কৃষি জমিতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে।

জানা যায়, কয়েক জৈব সার মাটিতে ব্যবহার না করে শুধুমাত্র অজৈব সার ব্যবহার করলে জমি তার পানি ধারণ ক্ষমতা ও পুষ্টি উপাদান বিনিময় ক্ষমতা হারায়। এছাড়া হিউমাসের পরিমাণ কমে যায়। ফলে জমির উপকারী জীবাণুর পরিমাণ হ্রাস পেয়ে পাথুরে জমিতে পরিণত হয়। যা চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

জমির জৈব পদার্থের পরিমাণ কম হওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। যে হারে ফসল ফলানো হচ্ছে সে হারে জমিতে জৈব পদার্থ যোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফসলের অবশিষ্ট অংশ মাটিতে জৈব পদার্থ যোগ করে। কিন্তু কৃষি শিক্ষার অভাবে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ লালমনিরহাট জেলার কৃষকরা জমিতে সুষম সার ব্যবহার করে না।

অতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের আশায় তারা জমিতে বেশি মাত্রায় নাইট্রোজেন সার (ইউরিয়া) ব্যবহার করছে। এতে অণুজৈবিক কার্যকারিতা বেড়ে যায়। ফলে অণুজীবগুলো জৈব মধ্যস্থিত নাইট্রোজেন খেয়ে ফেলে এবং মাটির জৈব পদার্থের পরিমাণ কমে যায়।

আরও জানা যায়, প্রতি ৩বছর পর পর জমিতে সবুজ সার উৎপাদনকারী ফসল জমিতে রোপণ করতে হবে। ওই ফসলের অবশিষ্টাংশ মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। জমির আগাছা চাষ দিয়ে মাটির সাথে মিশাতে হবে। গবাদি পশুর মলমূত্র সংরক্ষণ ও বিভিন্ন আবর্জণা পচন দিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরী করে তা মাটিতে ছিটিয়ে দিতে হবে। প্রত্যেক চাষিকে মাটি পরীক্ষা করে সার ব্যবহার করতে হবে। ফসলের জন্য যতোটুকু চাষ দেয়া প্রয়োজন ঠিক ততোটুকু চাষ দিতে হবে। এতে উৎপাদন খরচ যেমন কম হবে তেমনি মাটিতে জৈব পদার্থ বেশি দিন সংরক্ষিত থাকবে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের মকড়া ঢঢ গাছ গ্রামের কৃষক ডাঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি আমার জমিতে সুষম সার ব্যবহার করে চাষাবাদ করে থাকি। এতে ফসলও ভালো হয়, সেই সাথে জমিরও উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয় না।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone