শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
ভূট্টার ব্যাপক আবাদ ও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা এমপি পুত্রের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে মনোনয়ন পত্র বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলফনামায় তথ্য গোপন করায় রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারের নিকট অভিযোগ অগ্নিকান্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই লালমনিরহাটের ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল সেই আলোচিত শ্রমিক লীগ নেতা হত্যা মামলায় দুই বিএনপির নেতা কারাগারে! লালমনিরহাটে ডান চোখ তুলে নিয়েছে, এখন বাম চোখও উপড়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের এমপি নূরুজ্জামান আহমেদের ছেলে ও ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী! লালমনিরহাটে ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত, ট্রেনে কাটা পড়ে রেল কর্মচারী নিহত! কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
ধর্ষণ চেষ্টাঃ ভিকটিম কিশোরী জুতির আত্মহত্যা

ধর্ষণ চেষ্টাঃ ভিকটিম কিশোরী জুতির আত্মহত্যা

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: নিজ বাড়ীর শয়ন কক্ষে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার ভিকটিম ১৪বছরের কিশোরী কামরুন্নাহার জুতি। এ ঘটনায় আরো একটি ইউডি মামলা করেছে জুতির বাবা কামরুজ্জামান মিয়া। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর তিনি মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় দুই বখাটের বিরুদ্ধে একই থানায় মামলা করেছিলেন।

 

মঙ্গলবার রাতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজীর চওড়াটারী এলাকার নিজ বাড়ীতে ঘটনাটি ঘটেছে। কামরুন্নাহার জুতি ওই এলাকার ফেরিওয়ালা কামরুজ্জামান মিয়ার কন্যা।

 

তবে কি কারনে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে তা পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। পরিবারের অভিযোগ আসামী পক্ষের লোকজনের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজে অতিষ্ঠ হয়ে কামরুন্নাহার আত্মহত্যা করেছে।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) মঈনুল ইসলাম বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর একই উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজীর চওড়াটারী এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে হামিদুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলামের ছেলে নুর ইসলামের বিরুদ্ধে কামরুন্নাহারকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মেয়েটির বাবা কামরুজ্জামান মিয়া। ওই মামলার প্রধান আসামী হামিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তিনি বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। পলাতক অপর অভিযুক্ত আসামী নুর ইসলামকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

কামরুন্নাহারের দাদী কহিরন বেওয়ার অভিযোগ, মামলা দায়ের করার পর থেকে আসামীর লোকজন বিভিন্নভাবে গালিগালাজ করে আসছিল কামরুন্নাহারকে। গালিগালাজ সইতে না পেরে ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার নিজ বাড়ীর শয়ন কক্ষে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে ওই মেয়ে।

 

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম বলেন, কামরুন্নাহারের নিজের মা অন্যত্র বিয়ে করার পর মেয়েটি ছোট বেলা থেকেই মানুষের বাড়ীতে গৃহপরিচারিকার কাজ করত। এখন বিয়ের বয়স হওয়ায় সম্প্রতি তাকে বাড়ীতে ফেরত পাঠায় এক গৃহকর্তা। মেয়েটি না পারছিল সৎ মায়ের কাছে আশ্রয়, না পারছিল নিজের মায়ের ঘরে আশ্রয়। এরই মধ্যে গত সেপ্টেম্বর মাসে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল দুই বখাটে। আমরা ইতোমধ্যে প্রধান আসামী হামিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ মেয়েটি আত্মহত্যা করে। এই বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি।

 

লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা জানান, কি কারনে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

 

তিনি আরো বলেন, ধর্ষণের চেষ্টা মামলা হওয়ার পর ওই কিশোরীর সাথে দেখা করে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু কেন আত্মহত্যা করল বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone