শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
শ্রমিক নেতা হত্যা মামলায় পাঁচ বিএনপির নেতা কারাগারে! লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হেলাল হোসেন কবিরের উন্নয়ন ভাবনা! উপজেলা নির্বাচনে কালীগঞ্জ ও আদিতমারীতে চেয়ারম্যান পদে ৫জনসহ ২০প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ! ভূট্টার ব্যাপক আবাদ ও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা এমপি পুত্রের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে মনোনয়ন পত্র বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলফনামায় তথ্য গোপন করায় রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারের নিকট অভিযোগ অগ্নিকান্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই লালমনিরহাটের ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল সেই আলোচিত শ্রমিক লীগ নেতা হত্যা মামলায় দুই বিএনপির নেতা কারাগারে! লালমনিরহাটে ডান চোখ তুলে নিয়েছে, এখন বাম চোখও উপড়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
অনুমোদন বিহীন করাতকলে বনজ সম্পদ ধ্বংসের মুখে : সামাজিক বন বিভাগের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

অনুমোদন বিহীন করাতকলে বনজ সম্পদ ধ্বংসের মুখে : সামাজিক বন বিভাগের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে সামাজিক বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে করাতকল অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। যত্রতত্রভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই একের পর এক করাত কল স্থাপনের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। ব্যাঙের ছাতার মতো এসব করাতকল গড়ে ওঠায় ধ্বংস হচ্ছে বনজ সম্পদ। অন্যদিকে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

সচেতন মহল দাবি করেছেন, এই অনুমোদনহীন অবৈধভাবে পরিচালিত করাতকলের মাধ্যমে বেপরোয়াভাবে চলছে বৃক্ষ নিধন ও কাঠ খড়ির জমজমাট ব্যবসা। ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে অবৈধভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই করাত কলের খড়ি কাঠ।

 

তারা আরও বলেন, প্রতিদিনই লালমনিরহাট থেকে ট্রাক যোগে অনুমোদন বিহীন বিপুল পরিমাণ কাঠ প্রকাশ্যে পাচার করা হচ্ছে। কার্যকর কোন পদক্ষেপ না থাকায় এই কাঠ পাচারকারী চক্রের দৌরাত্ম্য দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

অনুসন্ধানে দেখা যায়, অধিকাংশ স’মিলগুলো গড়ে উঠেছে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক ঘেঁষে। স’মিলে বিভিন্ন কাঠ ব্যবসায়ী নিয়ে আসা কাঠগুলো স্তুপ করে রাখা ফুটপাত দখল করে রাস্তার পাশ দিয়ে। করাত কলে কাঠ চিরাই করার সময়ে কাঠের গুঁড়ায় পথচারীদের পড়তে হয় মারাত্মক বিড়ম্বনায়। একদিকে পরিবেশের ক্ষতি অপরদিকে স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয় সংশ্লিষ্টদের।

 

সচেতন মহলের আরও দাবি, যেহেতু লালমনিরহাট জেলায় কোন সংরক্ষিত বনভূমি নেই। তাই ইতিমধ্যেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন এবং সামাজিক বন বিভাগের নিস্ক্রিয়তা যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে অচিরেই ফুরিয়ে যাবে প্রাকৃতিক সম্পদ, যাতে হবে বিপর্যস্ত পরিবেশ, প্রজন্ম ও অস্তিত্ব রক্ষা করাই সম্ভব্য হবে না।

 

উল্লেখ্য যে, অনুমোদন বিহীন করাতকলের এ চিত্র লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone