বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০১:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
তুষারপাত মেয়র কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট-২০২৩ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত সেই জাহানারা’র পরিবার মুজিববর্ষের ঘর চেয়ে আবেদন! পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ-এঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের গ্রাহক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদান বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট পৌর এলাকাধীন মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৩ অনুষ্ঠিত পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

‘নদী খননে বিদেশী দাতা সংস্থাগুলোর সাথে সরকারের আলাপ-আলোচনা চলছে, টাকা পেলে নদী ড্রেজিং ও শাসন করে জমি উদ্ধার করে চাষ করা হবে’ -পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক

আলোর মনি রিপোর্ট
  • প্রকাশের তারিখ : শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

মোয়াজ্জেম হোসেন, লালমনিরহাট: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল নদী শাসন করার নির্দেশ দিয়েছেন। নদী ড্রেজিং ও শাসন করে জমি উদ্ধার করে কৃষি কাজে চাষ বাড়ানো হবে। এতে অনেক টাকা দরকার। এজন্য বিদেশী দাতা দেশগুলোর সাথে আমাদের সরকারের আলাপ-আলোচনা চলছে। এতে অনেক দেশ আগ্রহ দেখিয়েছেন।

 

শনিবার ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক পথসভায় এসব কথা বলেন।

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা ভাটির দেশের মানুষ। উজানে বৃষ্টি হলে বাংলাদেশে বন্যার সৃষ্টি হয়। ভাঙনের কারণে নদীর তল দেশে প্রতিবছর এক বিলিয়ন পলি জমে। এভাবে নদী ভরাট হয়ে চর জেগে উঠছে এবং গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতি বছর ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাঁধ নির্মাণ কাজ ভালো করতে গিয়ে গতি কিছুটা কমেছে পাউবোর। বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কিছু সময়ও লাগে। এ জন্য তিস্তাপাড়ের মানুষকে ধৈর্য্যধারণ করতে হবে। এজন্য আমরা সবাইকে ধৈর্য্য ধারনের অনুরোধ জানাচ্ছি।’

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমার দাদার বাড়ি নদীতে ভেঙে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। শুধু দাদার কবরটা ছাড়া কিছু নেই। আপনাদের কষ্টটা বুঝতে পারি বলে আমাকে দায়িত্ব দেওয়ায় দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ঘুরে ঘুরে আপনাদের খোঁজখবর নিচ্ছি। নদী ভেঙে যাওয়ার খবর পেলে আমরা দেখতে আসি। আপনাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে চেষ্টা করি।’

 

নৌকা যোগে তিস্তা নদী ভাঙন পরিদর্শকালে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এএম আমিনুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তরাঞ্চলের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর, আদিতমারী ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন, লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম ও মহিষখোচা ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা শনিবার সকাল ১০টায় কুড়িগ্রাম থেকে লালমনিরহাটে আসেন। প্রথমে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নে এবং পরে আদিতমালী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নে তিস্তা নদী ভাঙন পরিদর্শন শেষে দুপুরের পর জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গোড্ডিমারী ইউনিয়নে তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প পরিদর্শন করার উদ্দেশ্যে সড়ক পথে রওয়ানা হন। সেখাতে তাকে স্বাগত জানান লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপিসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ। এরপর মন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গী নীলফামারীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102