সীমান্তে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র চোরাচালান ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ভারতীয় গরু, শাড়ি ও মদ এবং বিপুল পরিমাণ ঔষধ জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন বিওপির বিশেষ টহলদল ২টি পৃথক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় গরু, শাড়ি ও মদ এবং বিপুল পরিমাণ ঔষধ জব্দ করেছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদকবিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার করবে। উক্ত তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টা ৩০মিনিটে দুর্গাপুর বিওপির আওতাধীন লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার চওড়া বাজার নামক স্থানে বিজিবি’র টহলদল বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে অভিযান পরিচালনার সময় সন্দেহজনক ব্যক্তিদেরকে গরুসহ আসতে দেখে টহলদল উক্ত গরুর কাগজপত্র দেখাতে বললে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। এছাড়াও উক্ত গরু চোরাচালান এর মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা হয়েছে বলে প্রমানিত হয়। পরবর্তীতে উল্লেখিত ৩টি গরু জব্দ করা হয়।
এছাড়াও, বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১২টা ৩০মিনিটে অনন্তপুর বিওপির আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার নাগরাজ পশ্চিম রামখানা নামক স্থানে বিজিবির টহলদল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালীন কতিপয় সন্দেহজনক ব্যক্তিদের গতিবিধি লক্ষ্য করে টহল দলের সদস্যরা ধাওয়া করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে দৌড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। পরবর্তীতে ফেলে রাখা মালামাল তল্লাশী করে ভারতীয় কিংফিশার (মদ) ১৮টি বোতল, হ্যাপি গোল্ড মদ ২০টি বোতল, তুবর্গ বিয়ার ৯টি বোতল, ভারতীয় শাড়ি ৯পিস এবং বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় ঔষধ জব্দ করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উব্দকৃত ভারতীয় গরু ৩টি, যার সিজার মূল্য ৩লক্ষ ৯০হাজার টাকা, ভারতীয় মদ ৩৮টি বোতল, যার সিজার মূল্য ৫৭হাজার টাকা, তুবর্গ বিয়ার ৯টি বোতল, যার সিজার মূল্য ১৩হাজার ৫শত টাকা, ভারতীয় শাড়ি ৯পিস, যার সিজার মূল্য ৯০হাজার টাকা, বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় ঔষধ, যার সিজার মূল্য ১লক্ষ ৭হাজার টাকাসহ সর্বমোট সিজার মূল্য ৬লক্ষ ৫৭হাজার ৫শত টাকা। এছাড়াও মাদক ও চোরাচালান চক্রের সংশ্লিষ্ঠ চোরাকারবারীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, দেশের যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধে স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও স্থানীয় জনগণকে চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
এই সফল অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার। মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2026 আলোর মনি. All rights reserved.