সীমান্তে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র চোরাচালান ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ভারতীয় গরু এবং গাঁজা জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন বিওপির বিশেষ টহলদল ২টি পৃথক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় গরু এবং গাঁজা জব্দ করেছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক বিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার করবে। উক্ত তথ্যানুযায়ী, রোব ও সোমবার (২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর) রাতে দিঘলটারী বিওপির আওতাধীন লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার যথাক্রমে মাশানকুরা এবং হাজিটারী নামক স্থানে বিজিবি’র টহলদল বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় ভারতীয় সীমান্ত দিক থেকে গরুসহ কয়েকজন চোরাকারবারিকে আসতে দেখে টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা গরু রেখে দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত স্থানদ্বয় হতে ৪টি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়।
এছাড়াও, সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ৩০মিনিটে অনন্তপুর বিওপির আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানার হাজিটারী নামক স্থানে বিজিবি’র টহলদল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালীন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে আসতে দেখে টহলদল তাকে চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত ব্যক্তি সাথে থাকা মালামাল ফেলে দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত স্থানে তল্লাশি করে ভারতীয় গাঁজা ১৫.৫ কেজি জব্দ করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত ভারতীয় গরু ৪টি, যার সিজার মূল্য ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা, ভারতীয় গাঁজা ১৫.৫ কেজি, যার সিজার মূল্য ৫৪হাজার ৯শত ৫০টাকাসহ সর্বমোট সিজার মূল্য ৩লক্ষ ৪হাজার ৯শত ৫০টাকা। এছাড়াও মাদক ও চোরাচালান চক্রের সংশ্লিষ্ঠ চোরাকারবারীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, দেশের যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধে স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও স্থানীয় জনগণকে চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
এই সফল অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার। মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2025 আলোর মনি. All rights reserved.