সীমান্তে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র মাদক ও চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানে ভারতীয় গরু, ইস্কাপ সিরাপ এবং গাঁজা জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান চোরাচালান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন বিওপির বিশেষ টহলদল ৩টি পৃথক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় গরু, ইস্কাপ সিরাপ এবং গাঁজা জব্দ করেছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক বিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার করবে। উক্ত তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল আনুমানিক ১টা ৩০মিনিটে দিঘলটারী বিওপি’র আওতাধীন লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার নামাটারী নামক স্থানে বিজিবি’র টহলদল বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় ভারতীয় সীমান্ত দিক থেকে গরুসহ কয়েকজন চোরাকারবারী বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় চোরাকারবারীরা গরু ফেলে ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ২টি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ১০মিনিটে বালারহাট বিওপি’র আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার গজেরকুটি নামক স্থানে টহল পরিচালনাকালীন চোরাকারবারীর গতিবিধি টের পেয়ে টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে দৌড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। চোরাকারবারীদের ফেলে রাখা মালামাল তল্লাশী করে ভারতীয় গাঁজা ১০.৫ কেজি উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১১টা ৫০মিনিটে রামখানা বিওপি’র আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার নাগেস্বরী থানার গোয়ালটারী এলাকায় টহলদল একজন চোরাকারবারীকে আসতে দেখে চ্যালেঞ্জ করলে সে মালামার ফেলে পালিয়ে যায়। উক্ত স্থানে তল্লাশি করে ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ ৪৫টি বোতল জব্দ করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত ভারতীয় গরু ২টি, যার সিজার মূল্য ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা, ভারতীয় গাঁজা ১০.৫কেজি, যার সিজার মূল্য ৩৬হাজার ৭শত ৫০টাকা এবং ভারতীয় ইস্কাপ সিরাপ ৪৫টি বোতল, যার সিজার মূল্য ১৮হাজার টাকাসহ সর্বমোট সিজার মূল্য ৩লক্ষ ৪হাজার ৭শত ৫০টাকা। এছাড়া চোরাচালান ও মাদক সংশ্লিষ্ঠ অন্যান্য চোরাকারবারীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, দেশের যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধে স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও স্থানীয় জনগণকে চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
এই সফল অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার। মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2025 আলোর মনি. All rights reserved.