সীমান্তে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মদ ও নেভিয়া সফট ক্রিম জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান চোরাচালান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন বিওপির বিশেষ টহলদল ২টি পৃথক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় মদ ও ভারতীয় নেভিয়া সফট ক্রিম জব্দ করেছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক বিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার করবে। উক্ত তথ্যানুযায়ী, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১১টায় অনন্তপুর বিওপি’র আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার নাগরাজ পশ্চিম রামখানা নামক স্থানে বিজিবির টহলদল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালীন কতিপয় সন্দেহজনক ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করে বিজিবি টহল দলের সদস্যরা ধাওয়া করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে দৌড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। পরবর্তীতে ফেলে রাখা মালামাল তল্লাশী করে ভারতীয় কিংফিশার (মদ) ৫টি বোতল উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৭টা ৫মিনিটে বাগভান্ডার বিওপি’র আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার বাগভান্ডার সুইচগেট নামক স্থানে টহল পরিচালনাকালীন চোরাকারবারীদের গতিবিধি টের পেয়ে টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে দৌড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। পরবর্তীতে ফেলে রাখা মালামাল তল্লাশী করে ১শত ২৫টি ভারতীয় নেভিয়া সফট ক্রিম উদ্ধার করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত মাদক, ভারতীয় মদ ৫টি বোতল, যার সিজার মূল্য ৭হাজার ৫শত টাকা এবং ভারতীয় নেভিয়া সফট ক্রিম ১শত ২৫টি, যার সিজার মূল্য ১৮হাজার ৭মত ৫০টাকাসহ সর্বমোট সিজার মূল্য ২৬হাজার ২শত ৫০টাকা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, দেশের যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। মাদক পাচার রোধে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে বিজিবি’র গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া তিনি স্থানীয় জনগণকে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেন।
এই অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার, যা মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2025 আলোর মনি. All rights reserved.