লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় চাহিদামতো সার না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ কৃষকেরা লালমনিরহাট–বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
রোববার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার অডিটরিয়াম চত্বর এলাকায় মেসার্স মোর্শেদ সার ঘর-এর সামনে এ অবরোধের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার মেসার্স মোর্শেদ সার ঘর থেকে সার বিক্রি করা হয়। কয়েক দিন ধরে কৃষকেরা সার পাচ্ছিলেন না। বিক্রয়কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে আজ সকালে সার বিক্রি করা হবে। সে জন্য উপজেলার সিংগিমারী ইউনিয়নের কৃষকেরা সকালে সেখানে যান। কিন্তু কয়েকজন কৃষককে তাদের চাহিদা মতো সার না দিয়ে হঠাৎ বিক্রয় কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কার্তিক বর্মনের সহযোগিতায় ডিলার খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সার বিক্রি করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কৃষকেরা জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এর ফলে লালমনিরহাট–বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম মিঞা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয় কৃষক জাহিদুল ইসলাম জানান, তাঁর দুই বিঘা জমির জন্য ইউরিয়া সার প্রয়োজন। কয়েক দিন ধরে ঘুরেও তিনি সার পাননি। আজ সকালে সার পাওয়া যাবে শুনে গেলেও চাহিদা মতো সার না থাকায় ফিরে আসতে হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, কৃষকদের না দিয়ে অধিক মুনাফার আশায় গোপনে দোকানদারদের কাছে সার বিক্রি করা হচ্ছে।
আরেক কৃষক কিসমত আলী বলেন, এখনই জমিতে সার দেওয়া দরকার। আজ-কালকের মধ্যে সার না পেলে ভুট্টা রোপণই সম্ভব হবে না। আমার মতো অনেক কৃষকই চাহিদামত সার পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে মেসার্স মোর্শেদ সার ঘরের স্বত্বাধিকারী মঞ্জুর মোর্শেদের বক্তব্য জানা যায়নি।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম মিঞা বলেন, কতো বস্তা সার এসেছে আর কতটুকু মজুদ রয়েছে সব হিসাব করা হবে। অনিয়ম প্রমাণিত হলে ডিলার পয়েন্ট বাতিল করা হবে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2025 আলোর মনি. All rights reserved.