লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর বিএডিসি সার গোডাউন এলাকায় ১৩২ কেভি (কিলোওয়াট ভোল্ট) রংপুর-লালমনিরহাট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ১১৩ নম্বর টাওয়ারের পাশে তৈরি করা অস্থায়ী রাস্তায় একটি পাথরবাহী ভারী ট্রাক চলাচলের সময় টাওয়ারের গায়ে পড়ে যায় এবং টাওয়ারটি সম্পূর্ণ ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর বিএডিসি সার গোডাউন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রংপুর পাওয়ার গ্রিড জিএমডি লালমনিরহাট ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের সহকারী প্রকোশলী মোঃ নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে ১৩২ কেভি রংপুর-লালমনিরহাট বিদ্যুৎ সঞ্চালন টাওয়ারের পার্শবর্তি অস্থায়ী রাস্তা স্থানান্তর প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয় যে, জিএমডি, পাওয়ার গ্রিজ, রংপুর দপ্তরের আওতাধীন রংপুর-লালমনিরহাট ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে সমগ্র লালমনিরহাট জেলায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হয়। লাইনটির মহেন্দ্রনগর এলাকার টাওয়ার নং ১১৩ এর গোড়ার পার্শ দিয়ে মাটি ভরাট করে আপনার নিয়োগকৃত ঠিকাদার একটি অস্থায়ি রাস্তা তৈরী করেতেছেন। উল্লেখ থাকে যে, উক্ত রাস্তায় ভারী যানবাহন (পাথর পরিবাহী ট্রাক, আন্তজেলা বাস ইত্যাদি) চলাচল করে। যাহা যেকোনো মুহূর্তে ১৩২ কেভি টাওয়ারের গায়ে ধাক্কা লেগে টাওয়ারটি ভেঙ্গে গিয়ে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি এবং গোটা লালমনিরহাট জেলা, আদিতমারী, কালীগঞ্জ উপজেলাসহ কুড়িগ্রাম জেলার কিছু অংশ-লম্বা সময়ের জন্য (৪-৭ দিন) বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। ঠিকাদারকে ইতোমধ্যে বাইপাস রাস্তাটি টাওয়ার হতে দূরে স্থানান্তর করার জন্য মৌখিকভাবে জানালেও তিনি কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় আপনার হস্তক্ষেপে, অস্থায়ী রাস্তাটি ১৩২ কেডি টাওয়ার হইতে কমপক্ষে ১৫ (পনের) ফিট দুরুত্বে স্থানান্তর করে এবং রাস্তার পার্শে অস্থায়ী পিলার স্থাপন করে, অথবা মেইন রাস্তার অপর পার্শে বাইপাশ রাস্তাটি স্থানান্তর করে টাওয়ার তথা ১৩২ কেডি লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ হইলো। উল্লেখ থাকে যে, বাইপাস রাস্তা নির্মানহেতু টাওয়ার তথা বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার কোন রকম কোন ক্ষতি হলে, সমস্ত দায়ভার সওজ বিভাগকে বহন করতে হবে।
রংপুর পাওয়ার গ্রিড জিএমডি নির্বাহী প্রকোশলী মোঃ শাহজাহান আলী স্বাক্ষরিত লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে ১৩২ কেভি রংপুর-লালমনিরহাট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ১১৩ নম্বর টাওয়ারের পাশে তৈরি করা অস্থায়ী রাস্তাটি সরিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয় যে, রংপুর-লালমনিরহাট ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনের ১১৩ নম্বর টাওয়ারের পাশে একটি অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। নির্মিত রাস্তাটি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ে ইতঃমধ্যে চিঠির মাধ্যমে উক্ত রাস্তাটি যথাযথ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য জানানো হয়েছিল। তথাপি অস্থায়ী রাস্তাটি সরিয়ে নেওয়া হয় নাই, ফলতঃ আজকে ২৪/১১/২০২৫ ইং তারিখ একটি পাথরবাহী ভারী ট্রাক যাহার নম্বর ঢাকা মেট্রো ট-২৪-০৭০৪ চলাচলের সময় টাওয়ারের গায়ে পড়ে যায় এবং টাওয়ারটি সম্পূর্ণ ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে। উক্ত দূর্ঘটনার সম্ভাব্যতার ব্যপারটি অনুধাবন করতঃ ইতিমধ্যে আপনাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু টাওয়ারটি ট্রাকের আঘাতের কারনে যেকোন সময় পরিপূর্ণভাবে ভেঙ্গে পড়ে যেতে পারে সেহেতু উক্ত অস্থায়ী রাস্তা দিয়ে বর্তমানে পথচারী এবং যানবাহন চলাচল করা চুরান্ত ঝুঁকিপূর্ন। এমতাবস্তায় আপনাদেরকে জানানো যাচ্ছে যে, অভিসত্তর এই চিঠি পাওয়া মাত্র উক্ত অস্থায়ী রাস্তাটি বর্তমান অবস্থান থেকে সরিয়ে মেইন রাস্তার পূর্ব দিক দিয়ে তৈরি করে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করার জন্য ননুরোধ করা গেল।
এদিকে উক্ত অস্থায়ী রাস্তায় পাথরবাহী ভারী ট্রাক টাওয়ারের গায়ে পড়ে যাওয়ার পর হতে লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর-লালমনিরহাট জাতীয় মহাসড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে করে ৫দিন ধরে বুড়িমারী-লালমনিরহাট-কুলাঘাট-বড়বাড়ী জাতীয় মহাসড়কে দূর্ভোগ বেড়েছে।
অপরদিকে লালমনিরহাটের মিশন মোড়-মোগলহাট রেলওয়ে গেট-হাসপাতাল সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীবাহী পরিবহন ও পণ্য এবং মালবাহী যাহবানের অবাধে যাতায়াতের ফলে জনজীবনে নেমেছে দূর্ভোগ।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ নূরনবী বলেন, লালমনিরহাট ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের ১১৩ নং টাওয়ারটিতে পাথরবাহী ভারী ট্রাক আঘাতের ঘটনায় একটি জিডি হয়েছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজহারুল ইসলামের বক্তব্য জানা যায়নি।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2025 আলোর মনি. All rights reserved.