সীমান্তে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র সাড়াশি অভিযানে ভারতীয় গরু, ফেন্সিডিল, ইস্কাফ সিরাপ ও গাঁজা জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটিই জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান চোরাচালান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যে ভিত্তিতে বিভিন্ন বিওপির বিশেষ টহলদল ৫টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় গরু, ফেন্সিডিল, ইস্কাফ সিরাপ ও গাঁজা জব্দ করেছে। এসব অভিযানে বিজিবি সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমে তাদের অটুট অবস্থানের প্রমাণ উপস্থাপন করেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, চোরাকারবারীরা ভারতীয় গরু ও মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (২৩ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১২টা ৩০মিনিটে মোগলহাট বিওপি সংশ্লিষ্ট লালমনিরহাট জেলার আদিতামারী থানার কুমারটারী এলাকায় টহল পরিচালনার সময় ভারতীয় সীমান্ত দিক থেকে গরুসহ কয়েকজন চোরাকারবারী বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় চোরাকারবারীরা গরু ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৮টি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়।
একই স্থানে একই রাত ১০টা ৫০মিনিটে পৃথক অভিযানে চোরাকারবারীদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে টহলদল চ্যালেঞ্জ করে। তারা মালামাল ফেলে পালিয়ে গেলে সেখান থেকে ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ ৭০টি বোতল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে একই রাতে আনুমানিক ১২টা ২০মিনিটে আরেক অভিযান পরিচালনার সময় চোরাকারবারীরা পালিয়ে গেলে তাদের ফেলে যাওয়া মালামাল থেকে ভারতীয় গাঁজা ১৫কেজি উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে, সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৬টা ৩০মিনিটে ঝাউরানী বিওপি’র আওতাধীন লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার খামারভাতী এলাকায় টহলদল চোরাকারবারীদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ভারতীয় ফেন্সিডিল ৬৭টি বোতল ও ইস্কাফ সিরাপ ৯৯টি বোতল জব্দ করা হয়।
একই দিন রাত ৩টা ৩০মিনিটে বনচৌকি বিওপি এলাকার লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার উত্তর আমঝোলে পরিচালিত আরেক অভিযানে ১টি ভারতীয় গরু আটক করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত ভারতীয় গরু ৯টি, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৬লক্ষ ৪৫হাজার টাকা, মাদকদ্রব্য ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ ১শত ৬৯টি বোতল, যার সিজার মূল্য ৬৭হাজার ৬শত টাকা, ভারতীয় ফেন্সিডিল ৬৭টি বোতল, যার সিজার মূল্য ২৬হাজার ৮শত টাকা এবং ভারতীয় গাজা ১৫কেজি, যার সিজার মূল্য ৫২হাজার ৫শত টাকা। সর্বমোট সিজার মূল্য ৭লক্ষ ৯১হাজার ৯শত টাকা।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারীদের পরিচয় শনাক্ত ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমামপিএসসি বলেন, দেশের যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধে স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও স্থানীয় জনগণকে চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
এই সফল অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার। মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2025 আলোর মনি. All rights reserved.