লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার কোটতলী রেইল গেট রসুলগঞ্জের ফাতেমা নামের এক বিধবার জমি জাল দলিল, খতিয়ান করে জোর পূর্ব দখল করার অভিযোগ উঠেছে শিল্পপতি শাহজাহান আলমের বিরুদ্ধে।
তিনি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার সুনাম ধন্যদের মধ্যে একজন। তবুও কেনো এই দখল?
ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম জানান, বেশ কয়েক বছর আগে মৃত হাসেম মাঝি (শাহজাহান এর পিতা) তার পরিবার নিয়ে আশ্রয়ের খোজে আমাদের গ্রামে আসেন। এতে আমার স্বামী মৃত ইউসুব আলী তাদের এই করুনতা দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। এটাই যেন তার জীবনের শ্রেষ্ঠ ভুল, তার এই ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে আজ পুরো পরিবারকে। তবে হাসেম মাঝি জীবিত থাকা কালিন সময়ে সব কিছু ঠিক থাকলেও সে মারা যাওয়ার পরই সব কিছু উল্টে যায়, যাদেরকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি তারাই আজ আমাদের আশ্রয়স্থল কেঁড়ে নিয়েছে, আমাদের করেছে পথের ফকির। আমাদের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে ফের আমাদেরই রেলওয়ের জায়গা একটি ঝুপড়ি তুলে দেয় ভূমিদস্যু শাহজাহান আলম মানবতা দেখান এই শাহজাহান।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ রনি গার্মেন্টসসহ তার রয়েছে একাধিক মেইল কারখানাসহ অঢেল সম্পত্তি। এতো সম্পদের পাহাড় গড়েছে তবুও আমার স্বামীর এতটুকু জায়গা সে ছেড়ে তো দেয়নি বরং জাল দলিল-নং-৬৪৯৩, খতিয়ান নং-১২৯০, বানিয়ে নিজের কব্জায় নিয়ে রেখেছেন, একই জমি বিভিন্ন লোকের নামে দলিল করে আমাদের ভয় দেখাচ্ছে ৭ম বার বিক্রি করেন ৯৭০, ৯৭১, ৯৭২, ১৫৬, ৭১৮৬ এই দলিলগুলোর মাধ্যমে। জাল দলিল বৈধ করতে বার বার বিক্রি দলিল করে ও দখল তার নিজের মধ্যে রয়েছে। এই বিষয়ে একাধিক বার বিচার শালিসি হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। বিনা চিকিৎসা, দুশ্চিন্তা আর হতাশায় অবশেষে আমার স্বামী মারা যান। এতেও মন গলেনি পাষণ্ড শাহজাহান আলমের। দিক কুল না পেয়ে আস্থা রাখি মেয়ে জামাতার উপর, তার সহযোগিতায়, আমরা কোর্টে একটা দলিল বাতিলের মামলা করি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহজাহানসহ তার পালিত সন্ত্রাসীরা দিনের পর দিন আমাদের কখনও লোভ দেখায় আবার কখনও হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। তার এই হুমকিতে যখন আমরা কর্নপাত করিনি ঠিক তখনি শাহজাহান আলম গোপনে সেই জমিটি অন্যত্র বিক্রি দেয়, খবর পেয়ে আমরা ফের আরেকটা মামলা (৮১/২০২৩) করলে, শাহজাহান আলম দিক কুল না পেয়ে আমার জামাতার নামে একটি চুরির মামলা (৩৩/২০২৪) করেন। সকল মামলাগুলোই বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে। আমরা অসহায় নিরক্ষর বলেই দিনের পর দিন শাহজাহান আলম আমাদের ঠকিয়ে যাচ্ছে, সে টাকা ওয়ালা শিল্পপতি বলে তার পিছনে অনেক লোক। আমাদের শেষ সম্বল টুকু হারাতে বসেছি, এসএ খতিয়ান ৩২৪, সাক্ষীসহ সব কিছু সঠিক থাকা সত্বেও আমরা কোথাও এর বিচার পাচ্ছি না। অবৈধ টাকা আর ক্ষমতার কাছে সত্য আজ খুবই নগন্ন। স্বামীর জায়গা সম্পদ থাকা অবস্থায়ও ছেলে-সন্তান নিয়ে আজ আমকে রাস্তায় বসবাস করতে হয়। দেশের বিচার ব্যবস্থার কাছে আমার আকুল আবেদন; সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যে এই জায়গার প্রকৃত মালিক তাকে তা ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2025 আলোর মনি. All rights reserved.