লালমনিরহাটের তিস্তা, ধরলা, রত্নাই, স্বর্ণামতি, সানিয়াজান, সাকোয়া, চাতলা, মালদহ, ত্রিমোহীনি, মরাসতি, গিরিধারী, গিদারী, ধোলাই, শিংগীমারী, ছিনাকাটা, ধলাই ও ভেটেশ্বর নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গের খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উক্ত নদীর উপভাগিকায় ধান ক্ষেত ও সবজি দীর্ঘদিন বন্যার পানির তলদেশে নিমজ্জিত থাকার ফলে নষ্ট হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি তলিয়ে গেছে পুকুর। এতে করে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
জানা গেছে, খাদ্য সংকটের পাশাপাশি বানভাসি মানুষগুলো বিভিন্ন পানিবাহি রোগে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য এখনও কোন ভ্রামমান্য চিকিৎসক টিম তাদের পাশের ব্যবস্থাপত্র ও ঔষধ নিয়ে দাঁড়ায়নি বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।
আরও জানা গেছে, বানভাসি মানুষের পাশাপাশি তাদের ঘরে থাকা গরু-ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগির উচু স্থানে কোন রকমে রাখলেও খাদ্যেরও চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এদের পাশে এখনও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোন প্রতিনিধির আশারও খবরও পাওয়া যায়নি।
আরও দেখা গেছে, বন্যার পানিতে রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে গেছে। বানভাসিদের যাতায়াতে দেখা গেছে চরম ভোগান্তি। এ থেকে পরিত্রাণের যেন কোন পথ নেই।
এদিকে লালমনিরহাট বন্যার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকাল ৩টা থেকে তিস্তা নদীর উপর দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় পানির সমতল ৫২দশমিক ৩০মিটার (বিপদসীমা ৫২দশমিক ১৫সেন্টিমিটার) যা বিপদসীমার ১৫সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানির সমতল ২৯দশমিক ১১মিটার (বিপদসীমা ২৯দশমিক ৩০মিটার) যা বিপদসীমার ১৯সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর তীরবর্তী দহগ্রাম, সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, ডাউয়াবাড়ী, ভোটমারী, কাকিনা, মহিষখোচা, পলাশী, খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের প্রায় ১হাজার ৮শত মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
এদিকে ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি সমতল ৩০.৭৫মিটার (বিপদসীমা ৩০.৮৭মিটার) যা বিপদসীমার ১২সেন্টিমিটার নিচে।
অপরদিকে পাটগ্রাম পয়েন্টে পানি সমতল ৫৭.৫০মিটার (বিপদসীমা ৬০.৩৫মিটার) যা বিপদসীমার ২৮৫সেন্টিমিটার নিচে।
কিন্তু লাগাতার বৃষ্টিপাতের কারণে ধরলা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত মোগলহাট, কুলাঘাট ও বড়বাড়ী ইউনিয়ন বন্যায় কবলিত।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, প্রাপ্ত তথ্য মতে এখন পর্যন্ত লালমনিরহাটের বন্যায় ১হাজার ৮শত পরিবার পানিবন্দী রয়েছেন।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2025 আলোর মনি. All rights reserved.