পবিত্র ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে লালমনিরহাট জেলার হাটগুলোতে দেশি গরুর চাহিদা অনেক বেশি বেড়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর অফিস থেকে জানা যায়, লালমনিরহাটে প্রায় ১০০ কিলোমিটার ভারতীয় সীমান্ত হওয়া কারণে এর আগের বছরগুলোতে চোরাই পথে ভারতীয় গরু ঢুকতো যার ফলে স্থানীয় খামারিদের ক্ষতির মুখে পড়তে হতো। এবার ভারতীয় গরু দেখা যাচ্ছে না।
কোরবানির হাটগুলোতে যেন কোনো রোগাক্রান্ত পশু না আসে বা কেউ বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে প্রাণিসম্পদ চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে। এবার পশুর বাজারে জাল টাকা সনাক্ত ও নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হবে।
বিভিন্না খামারির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার কোরবানিতে পশুর ভালো দামের আশা করছেন তারা। শেষ সময়ে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা পশুর পরিচর্যা করছেন খামারি ও গৃহস্থরা। তবে এবার গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় পশুর দাম কিছুটা বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বড়বাড়ী ইউনিয়নের খামারি বাবলু মিয়া জানান, কোরবানিকে সামনে রেখে গরুগুলো নিয়ে অনেক স্বপ্ন গুণতেছি। কিন্তু বড় বড় খামারি ও গৃহস্থদের এত বেশি গরু রয়েছে যা শুনে আমাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়ে গেছে। এর পড়েও যদি ভারত থেকে চোরাপথে কোনো পশু আসে তাহলে আমাদের লোকসান হবে।
খামারিরা বলেন, এই জেলায় পর্যাপ্ত গরু রয়েছে। কোনোভাবেই যাতে ভারত থেকে গরু না আসতে পারে সেদিকে প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে।
উল্লেখ্য যে, লালমনিরহাট জেলায় ১লাখ ৭১হাজার ৭শত ৭৭টি কোরবাণীর প্রাণীর চাহিদার বিপরীতে প্রস্তুত রয়েছে ২লাখ ৬২হাজার ৬শত ৩১টি। চাহিদার তুলনায় এ জেলায় ৯০হাজার ৮শত ৫৪টি বেশি রয়েছে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2025 আলোর মনি. All rights reserved.