শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
লালমনিরহাটে মৎস্য চাষীদের নামে পুকুরগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে সমাজপতিরা

লালমনিরহাটে মৎস্য চাষীদের নামে পুকুরগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে সমাজপতিরা

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ ও হেলাল হোসেন কবির, লালমনিরহাট:

 

লালমনিরহাটে মৎস্য চাষীদের নামে পুকুরগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে সমাজপতিরা।

জানাগেছে, লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় সরকারী পুকুরগুলোতে মাছ চাষে মৎস্য চাষীদের নামে একাধিক সংগঠন গড়ে উঠলেও এর পেছনে রয়েছে প্রভাবশালীদের একক নিয়ন্ত্রণ। বছরের পর বছর মাছ চাষ করলেও পুকুরগুলোর স্বাভাবিক গভীরতা বজায় রাখতে ওই সকল প্রভাবশালী মহল খননের ব্যবস্থা করেনি। আবার কোন পুকুর খনন করেছে। আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় পুকুর ব্যবস্থাপনা তৈরির উদ্যোগ নিলেও আজবধি একটি খসড়াও দাঁড় করাতে পারেনি। এদিকে নিজস্ব মালিকানায় রেখে সরকারী পুকুরগুলোতে মাছ চাষ করে দেশে আমিষের যোগান দিতে চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে মৎস্য অফিসগুলো। সরকারী নিয়ন্ত্রণাধীন লালমনিরহাটসহ দেশে সরকারি পুকুর ব্যবস্থাপনায় নির্দিষ্ট কোন নীতিমালা বিগত ৪৫বছরেও  তৈরি করা হয়নি। ভূমি স্থানীয় সরকার ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের টানা-টানিতে সরকারি জলমহাল ও পুকুরগুলোর অবস্থা মাছ চাষে অনুপোযোগী হলেও মাথা ব্যথা নেই কারও। মাছ চাষ করছে অন্যরা অথচ পুকুরগুলোর স্বাভাবিক গভীরতা বজায় রাখতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে বরাদ্দ নিয়ে তা খনন কাজ করা হচ্ছে। এসব পুকুর খননে কিংবা লিজ প্রদানে মৎস চাষী অথবা সুফলভোগী পুকুর পাইয়ে দিতে জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ ওপেন সিক্রেট। তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা উৎকোচের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। লালমনিরহাট জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, সরকারি দিঘী/পুকুরের সংখ্যা ৯৬টি, আয়তন ৭৫.০হেক্টর জমি, উৎপাদন ২৮০.০মেট্রিক টন মাছ। সরকারি মৎস্য হ্যাচারির সংখ্যা ১টি ও বেসরকারি সৎস হ্যাচারির সংখ্যা ৬টি। এসব পুকুরে মাছ চাষ হচ্ছে। মৎস্যজীবী সমিতির নামে এগুলোর আয় ভোগ করছেন সমাজের প্রভাবশালীরা। লালমনিরহাটে আলোচিত সুকান দিঘী (হুসেইন সরেবর), বুড়ির দীঘি, দলাইনামার বিল, নামুড়ী সুকান দিঘীসহ মোট ৯৬টি সরকারি পুকুর যা অবৈধ দখলে রয়েছে। জেলা মৎস্য অধিদপ্তর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিয়ে পুকুরগুলো খনন করে মাছ চাষ ও পুকুর পাড়ে গাছ চাষ করে রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে হাজার কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব আয় হতো এবং প্রকৃত অসহায় দরিদ্র জেলে পরিবারের মাঝে লিজ ভিত্তিক মৎস্য চাষের জন্য দেয়া হলে লক্ষ মাত্রার চেয়ে কয়েকগুণ মাছ উৎপাদন করা যেত বলে সচেতন মহল মনে করছেন। অথচ সুষ্ঠু নীতিমালা, উদ্যোগের অভাব ও আইনের ফাঁক-ফোকর ও জেলা মৎস্য অফিসের সহায়তায় এক শ্রেণির সমাজপতিরা পুকুরগুলোতে মাছ চাষ করে এরেই মধ্যে কোটিপতি বনে গেছেন। মৎস্য চাষে যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকলেও উন্নত প্রযুক্তি এ জেলায় না থাকায় প্রতিবছর ১৪হাজার ৬শত ৮৯মেট্রিক টন মাছ ঘাটতি থেকে যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone