শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শ্যালিকাকে কাছে পেতে ভায়রাকে খুন করে ধরা পড়লেন সেই দুলাভাই

শ্যালিকাকে কাছে পেতে ভায়রাকে খুন করে ধরা পড়লেন সেই দুলাভাই

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটের মাইক্রোবাস চালক নববিবাহিত বেলাল হোসেন ২৯) হত্যা মামলার রহস্য উৎঘাটনসহ ঘাতক আলমগীর হোসেন (৩০) কে গ্রেফতার করেছে আদিতমারী থানা থানা পুলিশ।

শ্যালিকা লাবনী বেগমকে পেতে নববিবাহিত ভায়রা মাইক্রোবাস চালক বেলাল হোসেনকে খুন করে অবশেষে ধরা পড়লেন দুলাভাই আলমগীর হোসেন। তার শেষ রক্ষা হলো না। তবে ৫/৬বছর আগে লাবনী বেগমের বড় বোন নাসরিন নাহার মিথির সাথে আলমগীর হোসেনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি সন্তান রয়েছে। নাসরিন নাহার মিথি ও লাবনী বেগম লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের মালীটারী এলাকার নজরুল ইসলামের কন্যা।

আজ মঙ্গলবার ৪ আগস্ট দুপুরে নিজ সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।

গ্রেফতার আলমগীর হোসেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের মোস্তফিরহাট এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি নিহত মাইক্রোবাস চালক বেলাল হোসেনের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী লাবনী বেগমের দুলাভাই। আলমগীর হোসেন নিজেও ট্রাক চালক।

 

খুনের শিকার মাইক্রোবাস চালক বেলাল হোসেন (২৯) লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের হাড়িভাঙ্গা এলাকার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের ছেলে।

 

প্রেস ব্রিফিংয়ে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা ও আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, আলমগীর হোসেন শ্যালিকা লাবনী বেগমের সাথে দীর্ঘদিন থেকে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত ২৪ জুন হঠাৎ করে পারিবারিক ভাবে লাবনী বেগমের সাথে বিয়ে হয় মাইক্রোবাস চালক বেলাল হোসেনের। এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি নববধূ লাবনী বেগম ও তার দুলাভাই আলমগীর হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বেলাল হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঘাতক আলমগীর হোসেন।

 

পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, গত ২৫ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে আলমগীর হোসেন ছোট ভায়রা বেলাল হোসেনকে কোল্ড ড্রিংসের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ায়। এরপর মোটর সাইকেল যোগে তাকে নিয়ে আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের পাঠানটারী এলাকায় গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে লালমনিরহাট-বুড়িমারী স্থলবন্দর জাতীয় মহাসড়কের পাশের একটি পাট ক্ষেতে লাশ ফেলে যায় ঘাতক আলমগীর হোসেন ও তার সহযোগিরা। এর দুই দিন পর ২৭ জুলাই স্থানীয়দের খবরে বেলাল হোসেনের অর্ধগলিত লাশ অজ্ঞাত পরিচয়ে উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ। পরে পরিবারের লোকজন আদিতমারী থানায় গিয়ে লাশের পরিচয় শনাক্ত করে।

 

আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, অর্ধগলিত বেলাল হোসেনের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি হত্যা মামলা (২৯ জুলাই) দায়ের করে। ক্লু-লেস এ হত্যা মামলাটি আদিতমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান আনিস তদন্ত করে সন্দেহজনক ভাবে বেলাল হোসেনের নববধূ স্ত্রী লাবনী বেগমকে (২১) আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে গত সোমবার ৩ আগস্ট লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি থেকে ঘাতক আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

 

গ্রেফতারকৃত আলমগীর হোসেনের দেয়া তথ্যমতে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ছুরিও উদ্ধার করে পুলিশ। ঘাতক আলমগীর হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলেও প্রেস ব্রিফিংয়ে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।

 

প্রেস ব্রিফিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার আতিকুজ্জামান আতিক, আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান আনিসসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone