শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলার প্রার্থীরা ব্যস্ত প্রচারণায়! লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ্যাডঃ মোঃ ইকবাল হোসেন মামুন শ্রমিক নেতা হত্যা মামলায় পাঁচ বিএনপির নেতা কারাগারে! লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হেলাল হোসেন কবিরের উন্নয়ন ভাবনা! উপজেলা নির্বাচনে কালীগঞ্জ ও আদিতমারীতে চেয়ারম্যান পদে ৫জনসহ ২০প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ! ভূট্টার ব্যাপক আবাদ ও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা এমপি পুত্রের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে মনোনয়ন পত্র বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলফনামায় তথ্য গোপন করায় রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারের নিকট অভিযোগ অগ্নিকান্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই লালমনিরহাটের ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
লালমনিরহাটের ধরলার ভাঙনে ছোট হচ্ছে মোগলহাট ইউনিয়ন

লালমনিরহাটের ধরলার ভাঙনে ছোট হচ্ছে মোগলহাট ইউনিয়ন

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট:

 

লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন সংলগ্ন ধরলা নদীতে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। অব্যাহত ভাঙনে ক্রমেই ছোট হচ্ছে ইউনিয়নটি। বিগত কয়েক বছরে ওই ইউনিয়নের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ধরলায় বিলীন হয়েছে। প্রতিদিনই ধরলা গ্রাস করছে বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি। ভাঙন কবলিত অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত এক দশকে এই ইউনিয়নের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ধরলা নদীতে হারিয়ে গেছে। এখানে ভোটার সংখ্যা ২৫হাজার ৫শত ৫৫জন। কিন্তু ভোটদানে উপস্থিতির সংখ্যা আনুপাতিক হারে অর্ধেক। ৯টি ওয়ার্ডের ১২টি মৌজার মধ্যে ৬টি (কর্ণপুর, ফলিমারী, কুরুল, বুমকা, ইটাপোতা, খারুয়া) নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। অর্ধেক ভোটার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এখানে বর্ষা মৌসুমে জিও ব্যাগ ফেলানো হলেও ভাঙন ঠেকানো যায় না। আর শুষ্ক মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীরবতা। ভাঙন ঠেকাতে সরকারের কাছে দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা চায় মোগলহাট ইউনিয়নবাসী।

সরেজমিনে মোগলহাট ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত কর্ণপুর, ফলিমারী, কুরুল, বুমকা, ইটাপোতা, খারুয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখনও নদী তীরের বাড়িগুলো আছে। কখন ধসে যায় তা দেখতে উদাস চোখে তাকিয়ে আছে বাড়ির কর্তারা। ওয়াবদা বাঁধ ও রেলওয়ে লাইনের ধারে হাজার হাজার মানুষ মাথা গোজার ঠাই করতে বাড়ী করেছে।

ধরলা নদীর ভাঙনের স্কীকার মানুষগুলো বলেন, হামার এ্যালা নিঃস্ব হয়া গেছি। হামরা পথের ভিখারী হয়া গেছি। হামারগুলার মাথা গোজার ঠাই নেই। আর সেই সাথে রাত কাটে নির্ঘুম। ঘরের উঠানে চলে এসেছে নদী। যে কোন মুহুর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে। আতঙ্ক আর উদ্বেগে সময় কাটছে পরিবারের লোকজনের।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone