শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে উপজেলা চেয়ারম্যান ৭, ভাইস চেয়ারম্যান ১০, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৬জন বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থী; ১জন চেয়ারম্যানের মনোনয়নপত্র বাতিল! প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ শুভ উদ্বোধন এবং আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত মানবিক সহায়তা (ঢেউটিন ও টাকা) বিতরণ অনুষ্ঠিত এমদাদুল সিন্ডিকেটের এক সদস্য গ্রেফতার! সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ লালমনিরহাটের ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ লালমনিরহাটের শখের বাজার সড়কের পথচারীরা, কর্তৃপক্ষ নির্বিকার লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে ঘুঘু পাখি! একুশ বছর
মুক্তিযুদ্ধ ছিল এ দেশের সর্বস্তরের জনতার লড়াই

মুক্তিযুদ্ধ ছিল এ দেশের সর্বস্তরের জনতার লড়াই

জুয়েল রুহানী:

মুক্তিরও মন্দিরও সোপানও তলে

কত প্রাণ হলো বলিদান

লেখা আছে অশ্রু জলে…..।

 

মুক্তিকামী বাঙ্গালী জাতি এ দেশের আকাশে বাতাসে বিজয়ের বাণী ছড়িয়ে দিতে মেতেছিল রণক্ষেত্রে রক্তের খেলা খেলতে। স্বার্থ ভূলে নিঃস্বার্থভাবে বাবা-মায়ের স্নেহ-মমতা বিসর্জন দিয়ে রণক্ষেত্রে ছুটে গিয়েছিল একটি সোনার বাংলাদেশ দেখতে। বাংলাদের বুকে যখন চরম বিপর্যয় নেমে এসেছিল সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, মানবিক সমস্ত দিকে যখন শাসকগোষ্ঠি বাঙ্গালি জাতিকে নিষ্পেষিত করতে চেয়েছিল ঠিক তখনি এ দেশের সর্বস্তরের জনতা প্রতিবাদের ঝড় তুলে, আন্দোলনের ভিত্তি গড়ে “বাঙ্গালী জাতি” পরিচয়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে।

 

বাংলাদেশ যতদিন রবে ইতিহাসের সোনালী পাতায় চির স্বরণীয় বরনীয় হয়ে থাকবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল এ দেশের সর্বস্তরের জনতার লড়াই। বাঙ্গালী জাতির উপর যখন পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় তখন সর্বস্তরের ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙ্গালী জাতির পরিচয় বহন করে প্রতিবাদের ঢাল ধরে রক্ত বন্যা বইয়ে দেয়। কামার-কুমার, জেলে, তাতী, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি, ডাক্তার, প্রকৌশলী মাথার ঘাম পায়ে ফেলা খেটে খাওয়া শ্রমিক জনতা সকলেই লড়েছিল বাঁচতে ও বাঁচাতে। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় প্রভৃতি দিক দিয়ে যখন একটি জাতিকে পঙ্গুত্ব করে রাখা হয়, তখন একটি জাতির বাঁচার কিই বা থাকে? এমন কি মায়ের মুখের ভাষাটুকু রুদ্ধ করার জন্যও শাসকগোষ্ঠী ছিল বদ্ধ পরিকর! সবকিছু হারিয়ে বাঙ্গালী জাতি যখন নিঃস্ব তখন মার্তৃভূমি ও মার্তৃভাষা কে বাঁচানোর জন্যই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এ দেশের সর্বস্তরের জনতা।

 

এ দেসের সর্বস্তরের জনতা বাবা-মায়ের স্নেহ-মমতা, ভাই-বোনের ভালোবাসা, স্ত্রী-সন্তানের মায়া বিসর্জন দিয়ে মার্তৃভূমির জন্য অকপটে স্বীকার করেছেন মৃত্যুযন্ত্রনা! বাঙ্গালী জাতিকে বাঁচানোর জন্য। আর তাইতো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ সন্তানহারা বাবা-মায়ের আর্তনাদ, সম্ভ্রমহারা মা-বোনের চোঁখে নীরবতার ছাঁপ হার মানিয়েছে সবকিছুকে।

 

সর্বপরি এ দেশের সর্বস্তরের জনতা নিঃস্বার্থভাবে বাংলা মায়ের সবুজ আঁচলে বুকের তাজা টক্ টকে রক্ত ঢেলে বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছে বিজয় নিশান। যা বাঙ্গালী জাতির গর্বের প্রতীক রুপে চির ভাস্বর হয়ে আছে বিশ্ব মানচিত্রে।

 

জুয়েল রুহানী, কবি ও লেখক, লালমনিরহাট।

 

(সাপ্তাহিক আলোর মনির সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, সাপ্তাহিক আলোর মনি কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার সাপ্তাহিক আলোর মনি নেবে না।)

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone