অনন্য এক স্বাদের টসটসে বাংলাদেশের সেরা লালমনিরহাটের লিচু সীমিত আকারে আর কয়েক দিনের মধ্যে বাজারে পাওয়া যাবে। বিশেষ এক বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর সেই সঙ্গে দেশি জাতের লিচু এখন গাছে গাছে থোকায় থোকায়। কয়েক দিনের মধ্যে মাদ্রাজি জাতের লিচু বাজারে পাওয়া যাবে। সময়ের আগেই বাজারে আসা লিচুর স্বাদ কিছুটা কম হলেও কিন্তু চাহিদার কমতি নেই। লিচু পল্লী খ্যাতি পাওয়া লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা, ভাটিবাড়ী, কাকেয়া টেপা, ফুলগাছ, ইটাপোতা, দুড়াকুটি, কর্ণপুর গ্রামে গাছে গাছে লিচু আলতো সিদুর রঙে রঙিন হয়ে ডালে ডালে ঝুলছে। এর মধ্যে মাদ্রাজি লিচু কয়েক দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। যদিও বেদানা ও চায়না-থ্রিসহ অন্যান্য জাতের লিচু আরও সময় নিবে। দিন দিন লিচুর ফলন এবং দাম ভালো পাওয়ায় এ লিচু চাষের জমি বাড়ছে। সেই সাথে বাগান ছাড়াও প্রতিটি বাড়ি, বাড়ি সংলগ্ন ভিটা জমিতে কয়েকটি করে লিচু গাছ রয়েছে।
মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা গ্রামের প্রবীণ লিচু চাষী আব্দুল হামিদ মিঞা জানান, তিনি এক একর জমিতে লিচু চাষ করেছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও লিচুর বাগান বিক্রি করেছেন।
একই কথা বললেন ওই গ্রামের লিচু চাষী মোস্তাফিজার রহমান, রমেশ চন্দ্র, ডাঃ অনিল চন্দ্র। তারাও লিচু বাগান ইতিপূর্বেই বিক্রয় করেছেন লিচু ব্যবসায়ীদের কাছে।
কোদালখাতা গ্রামের লিচু ব্যবসায়ী আজাদ হোসেন ও রঞ্জু জানান, এবার খরার কারণে লিচু ফুলেনি, শাঁস কম, আকারে বেশ ছোট তাই লিচু উৎপাদন কম হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম খন্দকার জানান, এ বছর প্রচন্ড খরা ও আবহাওয়াগত পরিবর্তন হওয়ার কারণে কিছু গাছে লিচু কম এসেছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় লিচু কিছুটা কম ধরেছে। এ কারণে লিচু চাষী ও ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়তে পারে বলে অনেকে ধারনা করছেন।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2025 আলোর মনি. All rights reserved.