শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে উপজেলা চেয়ারম্যান ৭, ভাইস চেয়ারম্যান ১০, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৬জন বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থী; ১জন চেয়ারম্যানের মনোনয়নপত্র বাতিল! প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ শুভ উদ্বোধন এবং আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত মানবিক সহায়তা (ঢেউটিন ও টাকা) বিতরণ অনুষ্ঠিত এমদাদুল সিন্ডিকেটের এক সদস্য গ্রেফতার! সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ লালমনিরহাটের ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ লালমনিরহাটের শখের বাজার সড়কের পথচারীরা, কর্তৃপক্ষ নির্বিকার লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে ঘুঘু পাখি! একুশ বছর
গমের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় লালমনিরহাটে কমে আসছে গমের চাষ!

গমের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় লালমনিরহাটে কমে আসছে গমের চাষ!

Exif_JPEG_420

লালমনিরহাট জেলায় দিন দিন কমছে গমের আবাদ। বাজারে গমের ন্যায্যমূল্য না থাকা ও সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি করতে না পারায় গম আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কৃষকরা। এর বদলে ভূট্টা, আলু, তামাকসহ অন্যান্য ফসলের চাষাবাদে ঝুঁকছেন তারা। এক সময় দেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে গম উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও এখন লোকসান হওয়ায় গম আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছেন জেলার চাষিরা।

 

লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় কৃষকরা ধান, ভূট্টা, সরিষাসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি অনেক জমিতে গম আবাদ করতেন। কিন্তু এখন আর আগের মতো গম আবাদ হয় না। আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির কারণে অল্প জমিতে বেশি ফসল উৎপাদন করা গেলেও সরকারি পর্যায়ে নেই মূল্য। বীজসহ কৃষি উপকরনের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় গম চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা। ফলে কমছে গমের উৎপাদন। কৃষকরা চাষাবাদ করছে আলু, ধান, ভূট্টা, তামাকসহ নানা ফসল। গমের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে চাষিদের গম আবাদে উৎসাহ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা করা না হলে আগামীতে এ জেলায় গম আবাদ আরও কমে যাবে। ফলে গম উৎপাদনে আরও ঘাটতি দেখা দেবে।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লালমনিরহাট জানিয়েছে, লালমনিরহাট জেলায় ১লক্ষ হেক্টর জমির মধ্যে এ বছর গম আবাদ হয়েছে ১০হাজার ২৩হেক্টর জমিতে। গমের উৎপাদন হবে ৪৩শত ৫০হেক্টর।

 

কৃষকেরা বলেন, চরে সব ধরনের আবাদ করতে হয় আলু, বোরো ধান, গম, পিঁয়াজ, বাদাম কিন্তু গমে একদম পোষায় না গম ঠিক বোয়াইছি গতবার যে বীজ কিনছিলাম ৪৫টাকা থেকে ৫০টাকা কেজি, এবার কিনতে হচ্ছে ৮০টাকা থেকে ৮৫টাকা কেজি পটাশের দাম বেশি ইউরিয়ার দাম বেশি অন্যান্য ঔষধের দাম বেশি এইজন্য আবাদ করা সম্ভব নয় যখন দাম বাড়ি যায়। আমাদের প্রসঙ্গে দেখে আমাদের গমের আবাদ সীমিত করা হচ্ছে।

 

কৃষকেরা বলেন, আমরা চাষি মানুষ আমরা আবাদ করে চলি আবাদ করে আমরা সংসারে জীবন যাপন করি এখন গমের দাম অনেক কম বাজারে গম আটার দাম বাজারে ৬০ থেকে ৭০টাকা কেজি আমাদের গম বাজারে নিয়ে গেলে বারোশো টাকা মন ৩০টাকা কেজি তাতে আমাদের পোষাচ্ছে না এজন্য আমরা নানান ধরনের আবাদ করতেছি ভুট্টা, আলু, কুমড়া যেসব জিনিসের দাম বেশি পাই সেই সব আবাদ করি।

 

কৃষকেরা বলেন, আমি ভূট্টা ৫০শতক জমিতে আবাদ করছি আমার টাকা খরচ হয়েছে ১০হাজার এখনতো ভূট্টার দাম বেশি ২হাজার ৪শত টাকা মন আর গমের আবাদ ১২শত টাকা গম সেই জন্য আমরা বেশি রকম আবাদ করি না আমরা ভূট্টা আবাদ করি। সরকার যদি গমের দাম বাড়ে দিত তাহলে কম বেশি করে আবাদ করতাম। অল্প একটু আবাদ করছি খাবার জন্য।

 

কৃষকেরা বলেন, আমরা কৃষক মানুষ আবাদ করে খাই গ্রামের দাম পাই না সরকার যদি দাম দিত কিছুটা রেহাই পাইতাম আমরা খুব পরিশ্রম করছি পরিশ্রমের দাম পাবার লাগছি না গমের দাম না পাওয়ার কারণে ভূট্টা লাগাইছি আলু লাগাইছি সরিষা লাগাইছি নানান ধরনের খেত লাগাইছি এইগুলার মধ্যে দাম বেশি পাওয়া যায়। দাম নেই দেখি বোয়ায়না।

 

কৃষকেরা বলেন, আমরা ৮-১০বছর থেকে আবাদ করি না গমের দাম কম তার কারণে ভুট্টা কাটছি ভূট্টার আবাদ হয়েছে আলুর আবাদ করছিলাম আলুর আবাদ ভালো হয়েছে গমের দাম কম দেখি বারোশো টাকা মন ওই জন্য গারেনা ভুট্টা আমাদের ৩হাজার টাকা মন তার জন্য আবাদ করছি আলু আবাদ করছি আলু ২০টাকা ২২টাকা কেজি বিক্রি করছি জমি আমার ৪০শতক মাটি হবে তাতে গম যাচ্ছি। ভুসির দাম বেশি দাম বাড়ছে গম গাড়িয়া গরু খাওয়াচ্ছি।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লালমনিরহাটের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ আলিনুর রহমান বলেন, কৃষকদের মধ্যে ভূট্টা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ভূট্টার দাম পাওয়ার কারণে কৃষকের আগ্রহ গমের দিকে কমে যাচ্ছে। কৃষকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবসে আমরা কৃষকদের বলে থাকি আপনারা অন্যান্য ফসল তামাক অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন করে সেটি না করে যেন গমের উৎপাদন করার কথা জানালেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

 

প্রসঙ্গত, লালমনিরহাট জেলায় কৃষি আবাদি জমির পরিমাণ প্রায় ১লক্ষ হেক্টরের কাছাকাছি এর মধ্যে ১হাজার ২শত ৫০হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়ে থাকে। আমরা এ বছর গম আবাদ করেছি ১০হাজার ২৩হেক্টর জমিতে। এখনো ফসলের কর্তন শুরু হয়নি। আমরা আশা করতেছি যে এ বছর আমরা ৪হাজার ৩শত ৫০হেক্টর গমের উৎপাদন হবে বলে আমরা আশা করছি। আমরা প্রনোদনার আওতায় ৫হাজার কৃষককে গমের প্রণোদনা দিয়েছি এর মধ্যে হল গমের বীজ সার। এতে গমের উৎপাদনে সহায়ক হবে। লালমনিহাট জেলা ভূট্টার ব্র্যান্ডিং জেলা এ জেলায় প্রচুর পরিমাণে ভূট্টার আবাদ হয়ে থাকে বিশেষ করে পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, আদিতমারী, কালীগঞ্জ প্রতিটা উপজেলায় ভূট্টার আবাদ হয়ে থাকে। কৃষকদের মধ্যে ভূট্টা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ভূট্টার দাম পাওয়ার কারণে কৃষকের আগ্রহ গমের দিকে কমে যাচ্ছে। আমরা আশা করতেছি যে কৃষকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবসে আমরা কৃষকদের বলে থাকি আপনারা অন্যান্য ফসল তামাক অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন করে সেটি না করে যেন গমের উৎপাদন করে আমরা এই পরামর্শ কৃষকদের দিয়ে থাকি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone