শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
ফসলি জমিতে বালু-মহাল তৈরির ঘোষণা, বন্ধের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

ফসলি জমিতে বালু-মহাল তৈরির ঘোষণা, বন্ধের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রায় ৩একর ফসলি জমিতে বালু-মহাল ঘোষণা এবং তা চালুর প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে লালমনিরহাটে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় ৩শতাধিক কৃষক।

 

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) উপজেলায় বিকেলে উত্তর পারুলিয়া চরে কৃষকরা ফসলি জমি রক্ষার দাবী জানিয়ে তাদের বাপ দাদার ভিটেমাটি রক্ষায় এ মানববন্ধন করে তারা।

 

মানববন্ধনে কৃষকরা বলেন, ১৯৪০ ও ১৯৬০ সালের রেকর্ডে আমাদের নাম রয়েছে। এই জমিতে আমাদের অনেকের বসতভিটেও রয়েছে। সেই চরে ভূট্টা, মরিচ, পিঁয়াজ, আলু, রসুনসহ নানাবিধ ফসল ফলানো হয়। যা দিয়ে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে কোন ভাবে বেঁচে রয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করে সেই জমিতে সরকার বালু মহাল ঘোষনা দেয় এবং তা বাস্তবায়নে পক্রিয়া শুরু করে। আমাদের ওই জমি গুলোতে বালু-মহাল নির্মান করা হলে আমরা পরুবার পরিজন নিয়ে পথে বসে যাব। তথ্য ভুল করে স্থানীয় প্রশাসন ১৯৯০ সালের রেকর্ডে ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত করেছেন। আমরা ওইসব জমিতে বালু-মহাল করার প্রক্রিয়া বন্ধ ও রেকর্ড সংশোধনের দাবি করছি।

 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ‍মুজিবুল আলম সাদাত, স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে হুমায়ুন কবির, মনিরুজ্জামান,  দেবাশীষ রায়, জাদু মিয়া, শফিকুল ইসলাম, ইব্রাহীম, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

 

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লোকমান হোসেন বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও বালু মহাল চালু করে সঠিকভাবে বালু বিনিময় করে সরকারের রাজস্ব বাড়াতে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বিআরএসে খাস খতিয়ানভুক্ত তিস্তার চরাঞ্চলের কয়েকটি স্থানে বালু-মহাল করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে সমন্বয় করে বালু মহাল চালু হবে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি দফতরের মতামত নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone