লালমনিরহাটে পারিবারিক জেরের কারণে পড়শীদের মধ্যে কতিপয় চক্রান্তকারী ব্যক্তি নিজেদের হীন স্বার্থ হাসিলের নিমিত্তে হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ করেছেন লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোকুল রায় ও তার পরিবার।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ুয়াস্থ নিজ বাড়ির উঠানে লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোকুল রায় ও তার পরিবার উদ্যোগে তাদের পরিবারে বিরুদ্ধে নানা প্রকার অপ-প্রচারের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে লিখিত বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোকুল রায়।
লিখিত বক্তব্যে লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোকুল রায় বলেন, পড়শীদের মধ্যে কতিপয় চক্রান্তকারী ব্যক্তি নিজেদের হীন স্বার্থ হাসিলে আমাদের বিরুদ্ধে নানা প্রকার অপপ্রচার শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ক’দিন পূর্বে রনবীর বর্মন, পিতা- ত্রৈলক্ষ বর্মন, জিতেন চন্দ্ৰ বর্মন, পিতা-মৃত: মহিম বর্মন, অনিমেশ বর্মন, পিতা- মৃত: জিতেন্দ্র বর্মন, কমলা কান্ত বর্মন, হরিকান্ত মেকার, উভয়ের পিতা-মৃত: বিদেশী বর্মন, রাজ বিহারী বর্মন, পিতা- মৃত: বাউরা বর্মন, বহিরাগত কয়েকজনকে নিয়ে এসে আমাদের স্থাপিত সীমানা খুঁটি ভেঙ্গে নানা ভয়ভীতি হুমকি দিতে থাকে। ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনাস্থলে পুলিশ ডেকে আনে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সদর থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনার বিস্তারিত শুনে অনেক পুরানো একটি সীমানা খুঁটি বের করে একই স্থানে ভাঙ্গা খুটির অংশ পুঁতে দেন। এভাবে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পুলিশ ডেকে পুলিশকে হয়রানি করে। ঐ দিনই সদর থানায় উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে উল্লেখিত সীমানা পিলারের উভয় পার্শ্বে দেড়ফুট জায়গার মধ্যে কোন পক্ষই কোন কাঠামো না করার শর্তেই উভয় পক্ষ স্বাক্ষর করে।
তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, মূলত: উক্ত সীমানা খুঁটিকে কেন্দ্র করে রনবীর, জিতেন ও কমলা বর্মনের গ্যাংটি আমাদের হেয় করার অপকৌশল নিয়ে সমাজে এবং প্রশাসনে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার শুরু করে এবং প্রকৃত সত্যকে আড়াল করতে পুলিশ বিভাগ ও প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া অনেককে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এলাকার এবং দুরদুরান্তেরও নিরীহ সাধারণ মানুষের স্বাক্ষর গ্রহণ করে। এমনকি গত ২ ডিসেম্বর শুক্রবার জিতেন বর্মনের উঠানে একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে একটি সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করে। যা সত্যের চুড়ান্ত অপরাধ।
প্রথমত: রনবীর গং যে অভিযোগ সাংবাদিক সম্মেলনের সাজানো ঘটনা বর্ণনা করে এবং সড়কের কথা উল্লেখ করে সেটি প্রায় ৬০বছর পূর্বে বিলুপ্ত হয়। যা গত ২৫/৩০বছর আগেই সরকার তা পাকা রাস্তা করে দেয়। রাস্তাটি বর্তমানে সকল স্তরের মানুষের চলাচলের জন্য ব্যবহার হচ্ছে। তদুপরি বিলুপ্ত সড়কটির চারদিকের জমি এবং উঠান দিয়ে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বাড়ীর লোকজন স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করছে। এ স্থানে একটি সীমানা ওয়াল নির্মাণ করলেও গ্রামের কয়েকটি পরিবারের যাতায়াতের জন্য একটি পর্যাপ্ত জায়গা খোলা রাখা হয়। যে স্থান দিয়ে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি পরিবারের যাবতীয় পরিবহন ট্রাক, ট্রাক্টর ইত্যাদি স্বাচ্ছন্দে চলাচল করছে। আমরা বা আমাদের পরিবারের কেউই কোন দিন কখনও কাউকে চলাচলে বাধা দেওয়ার একটিও নজির নেই।
দ্বিতীয়ত: এই চক্রান্তকারী মহলটি প্রকৃত সত্যকে পাশকাটিয়ে পার্শ্ববর্তী ৮৩০নং দাগের একটি রাস্তা রাজ বিহারী বর্মন, হরিচন্দ্র মেকার, কমলা কান্ত, জিতেন চন্দ্র, রনবীর গং অত্যন্ত প্রশস্ত এবং সুদীর্ঘ প্রায় ৩০০ফুট দীর্ঘ রাস্তাটি যা বর্তমানেও রেকর্ডভুক্ত রয়েছে। তাহারা নিজ নিজ জমির উভয়ে পার্শ্বে রাস্তাটি কেটে ভোগদখল শুরু করে এবং সেটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এই অপদখলীয় সরকারি রাস্তাটি উদ্ধার করা হলে তাদের অবকাঠামো পুকুর, বাঁশঝাড় এবং গাছপালা ছেড়ে দিতে হবে আশংকা করে এই সড়কটি পুনরুদ্ধারে চরম বাঁধার সৃষ্টি করে। এমনকি উক্ত সড়কটি পাকা সড়কের সাথে সংযুক্ত থাকার পরেও রাজ বিহারী বর্মন এ রাস্তা দখল করে দোতলা বাড়ী নির্মাণ করে।
আমি, আমার ভাই এবং সন্তানেরা বাড়ীতে না থাকায় এই উগ্রবাদী গংটি অহরহ আমাদের পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া ফ্যাসাদ হুমকি এমনকি আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আরও গুরুতর বিষয় এই যে, এই চিহ্নিত গংটি আমাদের কে হেয় করতে প্রকৃত সত্য ঘটনাকে এবং প্রমাণিত বিষয়কে আড়াল করে এলাকার সাধারণ মানুষের অনেককে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি পিটিশন দাখিল করে। এতদ্বসত্বেও বলা প্রয়োজন জেলা প্রশাসকের নিকট যে মানচিত্রের ফটোকপি দেয়া হয় সেখানে পার্শ্ববর্তী সংলগ্ন জমিতে অপদখলীয় রাস্তাটি দাগ নং-৮৩০ কেটে বাদ দিয়ে এবং পরিবর্তন করে আবেদনের সাথে গেঁথে দেয় বলে উল্লেখ করেন।
এ সময় তার ভাই মুকুল রায় ও বোন মুক্তি রাণী রায়সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।