শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে উপজেলা চেয়ারম্যান ৭, ভাইস চেয়ারম্যান ১০, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৬জন বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থী; ১জন চেয়ারম্যানের মনোনয়নপত্র বাতিল! প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ শুভ উদ্বোধন এবং আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত মানবিক সহায়তা (ঢেউটিন ও টাকা) বিতরণ অনুষ্ঠিত এমদাদুল সিন্ডিকেটের এক সদস্য গ্রেফতার! সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ লালমনিরহাটের ২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ লালমনিরহাটের শখের বাজার সড়কের পথচারীরা, কর্তৃপক্ষ নির্বিকার লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে ঘুঘু পাখি! একুশ বছর সেই বাসী চাঁদ
তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত

তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার চর অঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।

 

আজ শুক্রবার ২৬ জুন সকাল ৯টায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানি পয়েন্টে তিস্তা পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২দশমিক ৮০সেন্টিমিটার। ব্যারাজ রক্ষার্থে ৪৪টি জলকপাট খুলে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 

জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে ভারি বর্ষণ আর উজানের থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে তিস্তা নদীর চর এলাকাগুলোতে লোকজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

 

পানি বৃদ্ধিতে চরের লোকজন চরম বিপাকে পড়েছেন। উজানের পানি ও ভারী বর্ষণের কারণে বন্যা ও জলবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

 

এ দিকে পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলার নদীর চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ জানিয়েছেন।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলা রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন মোফা জানান, আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষই পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

 

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, গড্ডিমারীর ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের পরিবারগুলো নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়তেই দুর্ভোগে পড়েন। নতুন করে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গণ। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)র দোয়ানী ডালিয়া’র নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, বৃষ্টি আর উজানের ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

 

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলায় প্রায় ১০হাজার চরবাসী পানিবন্দী।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone