শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ এর ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কবি সাহিত্যিকগণের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে শীতার্ত, অসহায় দরিদ্রদের মাঝে- শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট বালক ও বালিকা (অনুর্ধ্ব-১৭)-২০২৫ এর জেলা পর্যায়ে খেলার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত এক বেলা খাবারের আবেদন প্রসঙ্গে কৃষক মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন গণকমিটির সদস্য সচিব এর প্রতিক্রিয়া লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের সম্পত্তি ক্রোক করে বিজ্ঞপ্তি সংবলিত ব্যানার ঝুলাল প্রশাসন লালমনিরহাটে লিপিকা দত্ত এর দূর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতি’র নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট সাংবাদিককের দুই পা কর্তন! লালমনিরহাটের কৃষকেরা বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে! লালমনিরহাটে সু-স্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি বিষয়ক ৩দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ শারীরিক অসুস্থ্য দিন মজুর মুকুল চন্দ্র

টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ শারীরিক অসুস্থ্য দিন মজুর মুকুল চন্দ্র

লালমনিরহাটে টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে মুকুল চন্দ্র (৪৫) নামের এক শারীরিক অসুস্থ্য দিন মজুরের।

 

স্বামীর চিকিৎসার অর্থ জোগাতে এখানে-সেখানে ছুটে বেড়াচ্ছেন অসহায় মুকুলের স্ত্রী পূর্ণিমা। মুকুল চন্দ্র লালমনিরহাট পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের মাঝাপাড়া এলাকার মৃত সুবল চন্দ্র রায়ের পুত্র।

 

মুকুল চন্দ্রের স্ত্রী ও এলাকাবাসী জানান, মুকুল একজন দিন মুজুর সে মিষ্টির ও হোটেলে দিনমজুরের কাজ করতো, প্রায় ১বছরের বেশি সময়র পঙ্গু হয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।

 

মুকুলের স্ত্রী পূর্ণিমা জানান, ১বছরে বেশি সময় ধরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমরা নিঃস্ব, এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। বাড়ি ভিটে ছাড়া আমাদের আর কিছু নেই। চিকিৎসক জানিয়েছ ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা হলে রোগী ভালো হয়ে আগের ন্যায় কাজ-কর্ম করতে পারবে।

 

প্রতিবেশী মুহিন রায় বলেন, মুকুল রায় আমার প্রতিবেশী বড় দাদা, মুকুলদার খুব দরিদ্র, দুই মেয়ে এবং ৮বছরের ছেলে ছাড়া আর কেউ নেই। সংসারে সে একমাত্র উপার্জনকারী, তিনি অসুস্থ্য হওয়ার পর মানবেতর দিন কাটাচ্ছে আমরা যে যার সাধ্যমত সাহায্য করছি।

 

প্রতিবেশী অরুন কুমার রায় জানান, মুকুল জেলার প্রদীপ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারসহ শহরের বিভিন্ন হোটেলে বয়ের (মেসিয়ার) কাজ করেছে ওর দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছ এবং তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে ছাড়া আর কেউ নেই। মুকুলের ছাড়া সংসারে হাল ধরার কেউ নেই। মুকুলের স্ত্রী পূর্ণিমা আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়, আমি মুকুলকে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম ডাক্তার জানিয়েছে এটি ঢাকায় চিকিৎসা করাতে হবে এবং এর চিকিৎসা করলে ভালো হবে। আর চিকিৎসা ব্যয় বহুল হওয়ায় পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, সমাজের বিত্তবানদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যে করার জন্য অনুরোধ করছি।

 

আরেক এলাকাবাসী বলেন, মুকুলের পরিবারের কষ্ট দেখলে আমাদেরও খারাপ লাগে। আমাদেরও নুন আনতে পানতা ফুরায়। ইচ্ছে থাকলেও সাহায্য করতে পারি না। প্রতিবন্ধী ভাতার পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ এবং সমাজের বৃত্তবানরা চিকিৎসার ব্যবস্থা পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করছি। সহায়তায় করতে- ০১৭৪০০২৮৫০৫ (মুকুল রায়) বিকাশ নম্বরে যোগাযোগ করলেন উপকৃত হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone